ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব রেকর্ডে বিজয় কেতন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • ১২৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রেকর্ডটা এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এনামুল হক বিজয়ের। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের জার্সিতে ২৯ বছর বয়সী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ব্যাটের রানের ফোয়ারা তো মৌসুমের শুরু থেকেই ছুটছে, রুপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেও শতক দেখেছে বিজয়ের ব্যাট। অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংসটা নিয়ে সর্বশেষ আট ম্যাচে একটি শতক, ছয়টি অর্ধশতক! বাকি ম্যাচটাতে অবশ্য শূন্য রানেই আউট হয়ে গেছেন বিজয়। অবিশ্বাস্য ছন্দে অনেকটা আড়ালে থেকেই একটা বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন বিজয়। এই মৌসুমে তার ১০৪২ রান লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের এক টুর্নামেন্টেরই সেরা। এবার জানা যাচ্ছে, কোন লিস্ট-এ টুর্নামেন্টে বিশ্ব রেকর্ডেই নাম উঠে গেছে জাতীয় দলে ব্রত্য হয়ে ওঠা এই ওপেনারের!
বাংলাদেশ তো বটেই, এখন পর্যন্ত লিস্ট-এ স্বীকৃত আসরে বিজয়ই প্রথম কোন ব্যাটসম্যান যিনি স্পর্শ করলেন এক হাজার রান। রেকর্ড গড়ার পথে বিজয় ছাড়িয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার টম মুডিকে। ৩১ বছর আগে ১৯৯১ সালে ইংলিশ কাউন্টি দল ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে সানডে লিগে ১৫ ম্যাচে মুডি করেছিলেন ৯১৭ রান। তাকে ছাড়িয়ে ১৪ ম্যাচে বিজয়ের রান এখন ১০৪২। গতপরশু রূপগঞ্জ টাইগার্সকে উড়িয়ে দিতে ৮৪ বলে অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংস খেলেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এই ওপেনার। তালিকায় বিজয় ছাড়া সেরা পাঁচজনের বাকি চারজনই রান করেন ইংলিশ কাউন্টিতে। তৃতীয় স্থানে থাকা জিমি কক সামারসেটের হয়ে ১৯৯০ সালে সানডে লিগে করেছিলেন ৯০২ রান। ২০১০ সালে প্রো-৪০ (৪০ ওভারের আসর) টুর্নামেন্টে ইয়র্কশায়ারের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৮৬১ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক রুডলফ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্ল হুপার কেন্টের হয়ে ১৯৯৩ সালে সানডে লিগে ১৬ ম্যাচে করেন ৮৫৪ রান।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ লিস্ট-এ স্বীকৃতি পায় ২০১৩ সালে। এরপর থেকে ২০১৯ সালে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে সাইফ হাসানের ৮১৪ রানই ছিল সর্বোচ্চ। লিস্ট-এ স্বীকৃত পাওয়ার আগে অবশ্য ২০১১-১২ মৌসুমে মুশফিকুর রহিম ১৬ ম্যাচে ৯৫১ রান করেন। ২০০১ সালে মোহামেডানের হয়ে ১৬ ইনিংসে ৯৪.৩৮ গড় ও ১১২.২৫ স্ট্রাইক রেটে ১২২৭ রান করেছিলেন কেনিয়ার স্টিভ টিকোলো। কিন্তু স্বীকৃত না হওয়ায় তা রেকর্ডভুক্ত হয়নি।
এই রেকর্ড গড়েও এনামুলের একটুখানি খচখচানি থাকতে পারে। পুরো টুর্নামেন্টের হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান তার, তবে এবারের প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটের শুধু সুপার লিগ পর্বের হিসাব করলে যে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা আর বিজয়ের থাকছে না। সুপার লিগে শেখ জামালের হয়ে চোখধাঁধানো ব্যাটিং করা নুরুল হাসান করেছেন সর্বোচ্চ ৩৫৭ রান, যার মধ্যে ছিল তিনটি ম্যাচজয়ী ইনিংস। এত রান করে এমন অর্জনের পরও দলকে শিরোপা জেতার কোন পরিস্থিতিই তৈরি করতে না পারায় এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের প্রতিক্রিয়া মিশ্র, ‘এরকম কোন লক্ষ্য ছিল না যে এক হাজার রান করব। চেষ্টা করেছি বড় রান করার, ধারাবাহিকতা রাখার। সেটা করতে পেরেছি। কিন্তু, লক্ষ্য ছিল দলকে চ্যাম্পিয়ন করব, সেটা হয়নি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব রেকর্ডে বিজয় কেতন

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রেকর্ডটা এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এনামুল হক বিজয়ের। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের জার্সিতে ২৯ বছর বয়সী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ব্যাটের রানের ফোয়ারা তো মৌসুমের শুরু থেকেই ছুটছে, রুপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেও শতক দেখেছে বিজয়ের ব্যাট। অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংসটা নিয়ে সর্বশেষ আট ম্যাচে একটি শতক, ছয়টি অর্ধশতক! বাকি ম্যাচটাতে অবশ্য শূন্য রানেই আউট হয়ে গেছেন বিজয়। অবিশ্বাস্য ছন্দে অনেকটা আড়ালে থেকেই একটা বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন বিজয়। এই মৌসুমে তার ১০৪২ রান লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের এক টুর্নামেন্টেরই সেরা। এবার জানা যাচ্ছে, কোন লিস্ট-এ টুর্নামেন্টে বিশ্ব রেকর্ডেই নাম উঠে গেছে জাতীয় দলে ব্রত্য হয়ে ওঠা এই ওপেনারের!
বাংলাদেশ তো বটেই, এখন পর্যন্ত লিস্ট-এ স্বীকৃত আসরে বিজয়ই প্রথম কোন ব্যাটসম্যান যিনি স্পর্শ করলেন এক হাজার রান। রেকর্ড গড়ার পথে বিজয় ছাড়িয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার টম মুডিকে। ৩১ বছর আগে ১৯৯১ সালে ইংলিশ কাউন্টি দল ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে সানডে লিগে ১৫ ম্যাচে মুডি করেছিলেন ৯১৭ রান। তাকে ছাড়িয়ে ১৪ ম্যাচে বিজয়ের রান এখন ১০৪২। গতপরশু রূপগঞ্জ টাইগার্সকে উড়িয়ে দিতে ৮৪ বলে অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংস খেলেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এই ওপেনার। তালিকায় বিজয় ছাড়া সেরা পাঁচজনের বাকি চারজনই রান করেন ইংলিশ কাউন্টিতে। তৃতীয় স্থানে থাকা জিমি কক সামারসেটের হয়ে ১৯৯০ সালে সানডে লিগে করেছিলেন ৯০২ রান। ২০১০ সালে প্রো-৪০ (৪০ ওভারের আসর) টুর্নামেন্টে ইয়র্কশায়ারের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৮৬১ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক রুডলফ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্ল হুপার কেন্টের হয়ে ১৯৯৩ সালে সানডে লিগে ১৬ ম্যাচে করেন ৮৫৪ রান।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ লিস্ট-এ স্বীকৃতি পায় ২০১৩ সালে। এরপর থেকে ২০১৯ সালে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে সাইফ হাসানের ৮১৪ রানই ছিল সর্বোচ্চ। লিস্ট-এ স্বীকৃত পাওয়ার আগে অবশ্য ২০১১-১২ মৌসুমে মুশফিকুর রহিম ১৬ ম্যাচে ৯৫১ রান করেন। ২০০১ সালে মোহামেডানের হয়ে ১৬ ইনিংসে ৯৪.৩৮ গড় ও ১১২.২৫ স্ট্রাইক রেটে ১২২৭ রান করেছিলেন কেনিয়ার স্টিভ টিকোলো। কিন্তু স্বীকৃত না হওয়ায় তা রেকর্ডভুক্ত হয়নি।
এই রেকর্ড গড়েও এনামুলের একটুখানি খচখচানি থাকতে পারে। পুরো টুর্নামেন্টের হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান তার, তবে এবারের প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটের শুধু সুপার লিগ পর্বের হিসাব করলে যে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা আর বিজয়ের থাকছে না। সুপার লিগে শেখ জামালের হয়ে চোখধাঁধানো ব্যাটিং করা নুরুল হাসান করেছেন সর্বোচ্চ ৩৫৭ রান, যার মধ্যে ছিল তিনটি ম্যাচজয়ী ইনিংস। এত রান করে এমন অর্জনের পরও দলকে শিরোপা জেতার কোন পরিস্থিতিই তৈরি করতে না পারায় এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের প্রতিক্রিয়া মিশ্র, ‘এরকম কোন লক্ষ্য ছিল না যে এক হাজার রান করব। চেষ্টা করেছি বড় রান করার, ধারাবাহিকতা রাখার। সেটা করতে পেরেছি। কিন্তু, লক্ষ্য ছিল দলকে চ্যাম্পিয়ন করব, সেটা হয়নি।’