হাওর বার্তা ডেস্কঃ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৪ এপ্রিল) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এমনকি দাম কমার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছে আড়াই ডজন প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে আছে।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৬ পয়েন্ট কমেছে। দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দাম কমার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে ৩০টি প্রতিষ্ঠান। আর লেনদেন হয়েছে দেড়শো কোটি টাকার বেশি।
ডিএসইর পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক দুই পয়েন্ট কমে যায়।
লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ নিম্নমুখী প্রবণতা প্রথম ১৩ মিনিট অব্যাহত থাকে। এতে ১০টা ১৩ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৩ পয়েন্ট পড়ে যায়। এরপর সূচক কিছুটা ওঠলেও বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। বরং লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১টা ১২ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের তুলনায় ৩২ পয়েন্টে কমেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১২ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট কমেছে।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩১টির। আর ৫৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২০৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৯ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৪৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।