একটি ব্রীজের অভাবে স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রাম হিসেবে পরিচিত পশ্চিম গোয়াইল গ্রামের সিকদার বাড়ির শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ আটটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং ওই বাড়ির অন্তত ২৫টি পরিবারের দুই শতাধিক জননগন।
উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রাম হিসেবে পরিচিত পশ্চিম গোয়াইল গ্রামে সরেজমিনে দেখা গেছে, এলাকায় “মুক্তিযোদ্ধা” বাড়ি হিসেবে খ্যাত সিকদার বাড়ির শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাওলা সিকদার, শহীদ আ. আজিজ সিকদার, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আ.রব সিকদার, মরহুম ছাত্তার সিকদার, মরহুম ফজলু সিকদার, মরহুম আনোয়ার সিকদার, মরহুম মোক্তার সিকদার, মরহুম এসএম গিয়াস উদ্দিন সিকদারসহ ওই বাড়িতে অন্তত ২৫টি পরিবারের দুই শতাধিক লোক বসবাস করছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি প্রবেশের জন্য সদর রাস্তা থেকে একটি ব্রীজ ছাড়া অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই।
রাজিহার ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বখতিয়ার সিকদার জানান, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ওই বাড়িতে প্রবেশের জন্য বেশ কয়েক বছর আগে প্রায় ৪০ফুট দীর্ঘ স্লাবের একটি আয়রণ ব্রীজ নির্মান করা হয়েছিল। তবে দীর্ঘ দিনেও তা আর সংস্কার না করায় অধিকাংশ স্লাব ভেঙ্গে লোকজন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পরেছে।
মরহুম মুক্তিযোদ্ধা ছাত্তার সিকদারের স্ত্রী আলেয়া বেগম জানান, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদে বছরের পর বছর ধর্না দিয়েও ব্রীজটি আর সংস্কার করাতে পারেনি তারা। দরিদ্র সীমার নীচে থাকা বাড়ির লোকজন তাদের স্কুলগামী ছেলে মেয়েদের যাতায়াতের জন্য প্রতি বছর নিজস্ব উদ্যোগে ভাঙ্গা ব্রীজের কয়েকটি স্থানে বাশ ও কাঠ দিয়ে পাটাতন তৈরী করে কোন রকমে চলাচল করছেন। তবে তা দিয়ে একটি ভ্যান যাতায়াত সম্ভব নয়। এর পরেও হাটি হাটি পা-পা করা শিশুরা ওই ব্রীজে উঠে অনেকেই খালের পানিতে পরে জীবন সংকটের সন্মুখিন হয়েছে। রাতের অন্ধকারে ব্রীজ দিয়ে চলাচলের কোন উপায় নেই। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ ওই বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোর স্কুলগামী ছেলে মেয়েসহ তাদের চলাচলের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবামন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ-এমপি’র নিকট একটি কংক্রিট ব্রীজ নির্মানের জোর দাবি জনিয়েছেন।