হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্তন ক্যান্সার মোটেও অবহেলার নয়। জেনে অবাক হবেন যে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ এ রোগে মারা যান। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। এদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের বেশি নারী, তবে খুব অল্প সংখ্যক পুরুষও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থাতেই ধরা পড়লে রোগ নিরাময়ের সুযোগ থেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই অনেক পরে গিয়ে ধরা পড়ে। তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। বেহিসেবি জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, প্রাত্যাহিক বিভিন্ন বদ অভ্যাসের কারণ গ্রাস করে এই মারণরোগ।
সতর্কতা বাড়াতে চলুন জেনে নেয়া যাক কোন পাঁচ কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি-
নিয়মিত মদ্যপান
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে অনেকেই ভরসা রাখেন মদ্যপানে। দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপানের অভ্যাস স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখতে মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকাই বাঞ্ছনীয়।
নিয়ম করে শরীরচর্চা না করা
দৈনন্দিন জীবনযাপনে সুস্থ থাকতে নিয়ম করে শরীরচর্চা করার কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ শুধু ক্যান্সার নয়, অন্যান্য অনেক রোগেরও আশঙ্কা কমায়। স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন অন্তত প্রায় ঘণ্টাখানেক ব্যায়াম, যোগাসন, প্রাণায়াম করা প্রয়োজন।
বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা
শরীরে অতিরিক্ত ওজন স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। বিভিন্ন কারণে ওজন পেতে পারে। বাইরের তেল-ঝাল-মশলা জাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তার মধ্যে অন্যতম। শরীরে ওজন বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি হয়। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা তাই জরুরি। তার জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। সুস্থ জীবনযাপন মেনে চলা। যথা সম্ভব বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
ধূমপানের অভ্যাস
ক্যান্সার প্রতিরোধে মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার বিকল্প কিছু নেই। স্তন ক্যান্সার হোক বা ফুসফুস— মাত্রাতিরিক্ত তামাক, অ্যালকোহলের প্রভাবেই মূলত এই ধরনের মারণব্যাধির শিকার হতে হয়। দীর্ঘদিনের এই অভ্যাস এখন ত্যাগ করলে ক্ষতি পূরণ করা যাবে, এমন নয়। তবে যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা আর বৃদ্ধি পাবে না।
রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শে আসা
ত্বকের যত্ন নিতে, রূপটান করতে অনেকেই ভরসা রাখেন বাজার চলতি নামী দামি প্রসাধনীর উপর। এই প্রসাধন সামগ্রীগুলোর রং, রূপ, গন্ধ বৃদ্ধি করতে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। যেগুলো একেবারেই ত্বকের জন্য ভালো নয়। দীর্ঘ সময় ধরে এই রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে শরীরের অন্দরে ছড়িয়ে পড়ে রাসায়নিক উপাদানগুলো। নিঃশব্দে বাড়তে থাকে ত্বকের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সারের আশঙ্কা।