ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিআইডি : তনুর মৃত্যু ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৩:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০১৬
  • ৪২৮ বার

কুমিল্লার কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর রহস্যজনক মৃত্যুর একমাস পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের এক কর্মকর্তা এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে বর্ণনা করেছেন।

কুমিল্লা সেনানিবাসের মধ্যে যে জায়গার তনুর মৃতদেহ পাওয়া যায়, সে জায়গা ঘুরে এসে সিআইডি তদন্ত দলের কর্মকর্তা নাজমুল করিম খান সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত তদন্তে তাদের মনে হচ্ছে তনুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, তাদের ধারণা তনুর মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিলো সেখানে তাকে হত্যা করা হয়নি। তিনি বলেন, অন্য জায়গায় হত্যা করে মৃতদেহ সেখানে ফেলা যাওয়া হয়। সিআইডি ঐ কর্মকর্তা বলেন, তনুর প্রথম ময়না তদন্তের রিপোর্টে তারা সুনির্দিষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা পাননি-দ্বিতীয় রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।

কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় যেখান থেকে সোহাগী জাহান তনুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সিআইডি দল সেই এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলেছে।
কুমিল্লা সেনানিবাসে বসবাসকারী তনুর পরিবারের সাথে পরিচিতদের সাথেও কথা বলেছে সিআইডি।

এই তদন্ত দলের প্রধান এবং সিআইডি’র সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, ঘটনাটিকে ঘিরে যে সব বক্তব্য বা অভিযোগ এসেছে তার সব তারা খতিয়ে দেখছেন।
তবে তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, অগ্রগতিই বা কতটা হচ্ছে-এসব প্রশ্নে তিনি কিছু বলতে চাননি।

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, মৃত্যুর এক মাস পরেও তদন্তে অগ্রগতির কোন খবর না পেয়ে তাদের হতাশা বাড়ছে।

মঙ্গলবার যখন সিআইডির উচ্চ পর্যায়ের দল তার সাথে কথা বলে, সেসময় তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে সুনির্দিষ্ট কোন জবাব তিনি পাননি।

সিআইডি পুলিশ দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে, কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছেন ঐ রিপোর্ট পেতে আরও সময় প্রয়োজন।

সোহাগী জাহান তনুর মৃতদেহের প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়েছিল সপ্তাহ তিনেক আগে। তখন চিকিৎসকরা এবং পুলিশ জানিয়েছিল, ময়নাতদন্তের ঐ রিপোর্টে তনুকে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তাতে তাঁর মৃত্যুর কারণও জানা যায়নি।

এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে কবর থেকে তনুর মৃতদেহ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহা বলেছেন, দ্বিতীয়-দফা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চূড়ান্ত হতে আরও সময় প্রয়োজন।

গত ২০শে মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা থেকে তনুর মৃতদেহ পাওয়ার পর সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। তনুকে হত্যার অভিযোগে মামলায় এখনও কেউ আটক হয়নি। পুলিশ বলেছে,সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে চিহ্নিত করার পরই আটকের প্রশ্ন আসবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সিআইডি : তনুর মৃত্যু ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’

আপডেট টাইম : ১২:৪৩:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০১৬

কুমিল্লার কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর রহস্যজনক মৃত্যুর একমাস পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের এক কর্মকর্তা এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে বর্ণনা করেছেন।

কুমিল্লা সেনানিবাসের মধ্যে যে জায়গার তনুর মৃতদেহ পাওয়া যায়, সে জায়গা ঘুরে এসে সিআইডি তদন্ত দলের কর্মকর্তা নাজমুল করিম খান সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত তদন্তে তাদের মনে হচ্ছে তনুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, তাদের ধারণা তনুর মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিলো সেখানে তাকে হত্যা করা হয়নি। তিনি বলেন, অন্য জায়গায় হত্যা করে মৃতদেহ সেখানে ফেলা যাওয়া হয়। সিআইডি ঐ কর্মকর্তা বলেন, তনুর প্রথম ময়না তদন্তের রিপোর্টে তারা সুনির্দিষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা পাননি-দ্বিতীয় রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।

কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় যেখান থেকে সোহাগী জাহান তনুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সিআইডি দল সেই এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলেছে।
কুমিল্লা সেনানিবাসে বসবাসকারী তনুর পরিবারের সাথে পরিচিতদের সাথেও কথা বলেছে সিআইডি।

এই তদন্ত দলের প্রধান এবং সিআইডি’র সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, ঘটনাটিকে ঘিরে যে সব বক্তব্য বা অভিযোগ এসেছে তার সব তারা খতিয়ে দেখছেন।
তবে তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, অগ্রগতিই বা কতটা হচ্ছে-এসব প্রশ্নে তিনি কিছু বলতে চাননি।

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, মৃত্যুর এক মাস পরেও তদন্তে অগ্রগতির কোন খবর না পেয়ে তাদের হতাশা বাড়ছে।

মঙ্গলবার যখন সিআইডির উচ্চ পর্যায়ের দল তার সাথে কথা বলে, সেসময় তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে সুনির্দিষ্ট কোন জবাব তিনি পাননি।

সিআইডি পুলিশ দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে, কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছেন ঐ রিপোর্ট পেতে আরও সময় প্রয়োজন।

সোহাগী জাহান তনুর মৃতদেহের প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়েছিল সপ্তাহ তিনেক আগে। তখন চিকিৎসকরা এবং পুলিশ জানিয়েছিল, ময়নাতদন্তের ঐ রিপোর্টে তনুকে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তাতে তাঁর মৃত্যুর কারণও জানা যায়নি।

এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে কবর থেকে তনুর মৃতদেহ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহা বলেছেন, দ্বিতীয়-দফা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চূড়ান্ত হতে আরও সময় প্রয়োজন।

গত ২০শে মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা থেকে তনুর মৃতদেহ পাওয়ার পর সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। তনুকে হত্যার অভিযোগে মামলায় এখনও কেউ আটক হয়নি। পুলিশ বলেছে,সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে চিহ্নিত করার পরই আটকের প্রশ্ন আসবে।