ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাস গড়ালেও অগ্রগতি নেই তনু হত্যার তদন্তে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০১৬
  • ৩৯৯ বার

হত্যাকাণ্ডের পর মাস গড়ালেও কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে কে বা কারা, কেন খুন করেছে, তা বের করতে পারেনি পুলিশ। দেশজুড়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ সিআইডি বলছে, পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন তারা।

হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন বলেও ধারণা করেছেন সিআইডির কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের বিশেষ সুপার নাজমুল করিম খান। তবে ভিক্টোরিয়া কলেজে স্নাতকপড়ুয়া এই ছাত্রীকে কেন হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু এখনও জানতে পারেননি তিনি।

গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারীর মেয়ে তনুর লাশ পাওয়ার পর ধর্ষণের পর খুনের সম্ভাবনার কথা পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।

সেনানিবাসের মধ্যে এই তরুণী খুন নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা ধর্ষণের প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানান। তবে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়েছে, যার প্রতিবেদন ১৭ দিনেও আসেনি।

মঙ্গলবার ঢাকা সিআইডির বিশেষ দলের সঙ্গে কুমিল্লা সেনানিবাস পরিদর্শন শেষে নাজমুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “এটিপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে আমরা এখনও মৃত্যুর কারণ জানতে পারিনি।”

সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরাও কারণ উল্লেখ করতে পারেননি বলে জানান তিনি।

এ যাবত ঘটনার আশপাশ এলাকার ৫২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানান নাজমুল করিম। তবে এই খুনের মামলায় এখনও গ্রেপ্তারের সংখ্যা শূন্য।

“সকলের সহযোগিতা পাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আমরা তদন্ত করে একটি সুফল বের করে নিয়ে আসতে পারব,” বলেন থানা পুলিশ-ডিবি হয়ে তদন্তভার পাওয়া সিআইডির এই কর্মকর্তা।

দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশেষ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দের নেতৃত্বে সিআইডির দলটি কুমিল্লা সেনানিবাসে তনুর বাসায় গিয়ে তার বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অতিথিশালায় তারা সেনা কর্মকতাদের সঙ্গেও কথা বলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মাস গড়ালেও অগ্রগতি নেই তনু হত্যার তদন্তে

আপডেট টাইম : ১০:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০১৬

হত্যাকাণ্ডের পর মাস গড়ালেও কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে কে বা কারা, কেন খুন করেছে, তা বের করতে পারেনি পুলিশ। দেশজুড়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ সিআইডি বলছে, পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন তারা।

হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন বলেও ধারণা করেছেন সিআইডির কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের বিশেষ সুপার নাজমুল করিম খান। তবে ভিক্টোরিয়া কলেজে স্নাতকপড়ুয়া এই ছাত্রীকে কেন হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু এখনও জানতে পারেননি তিনি।

গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারীর মেয়ে তনুর লাশ পাওয়ার পর ধর্ষণের পর খুনের সম্ভাবনার কথা পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।

সেনানিবাসের মধ্যে এই তরুণী খুন নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা ধর্ষণের প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানান। তবে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়েছে, যার প্রতিবেদন ১৭ দিনেও আসেনি।

মঙ্গলবার ঢাকা সিআইডির বিশেষ দলের সঙ্গে কুমিল্লা সেনানিবাস পরিদর্শন শেষে নাজমুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “এটিপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে আমরা এখনও মৃত্যুর কারণ জানতে পারিনি।”

সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরাও কারণ উল্লেখ করতে পারেননি বলে জানান তিনি।

এ যাবত ঘটনার আশপাশ এলাকার ৫২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানান নাজমুল করিম। তবে এই খুনের মামলায় এখনও গ্রেপ্তারের সংখ্যা শূন্য।

“সকলের সহযোগিতা পাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আমরা তদন্ত করে একটি সুফল বের করে নিয়ে আসতে পারব,” বলেন থানা পুলিশ-ডিবি হয়ে তদন্তভার পাওয়া সিআইডির এই কর্মকর্তা।

দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশেষ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দের নেতৃত্বে সিআইডির দলটি কুমিল্লা সেনানিবাসে তনুর বাসায় গিয়ে তার বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অতিথিশালায় তারা সেনা কর্মকতাদের সঙ্গেও কথা বলেন।