হাওর বার্তা ডেস্কঃ এক ঝাঁক তারকা নিয়ে এবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে দল সাজিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দলটিতে আছেন সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ। বিদেশি কোটায় আনা হচ্ছেন পাকিস্তানি মোহাম্মদ হাফিজকে। আর নেতৃত্বে থাকছেন আগের মৌসুমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডের অধিনায়কত্ব করা মুশফিকুর রহিম।
ক্লাব ক্রিকেটে মোহামেডানের দাপট এখন আগের মত নেই। প্রতি বছরই ভালো দল গড়ার চেষ্টা থাকে মোহামেডানের। তবে কাক্সিক্ষত শিরোপা ধরা দেয়নি। এক যুগ আগে দলটি জিতেছে প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ শিরোপা। ডিপিএল লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর কোনো ট্রফিও হাতে আসেনি। এবার তারকা সমৃদ্ধ দল নিয়ে তাই মুশফিকের লক্ষ্য শিরোপা খরা ঘুচিয়ে দলটির হারানো গৌরব ফিরিয়ে দেয়া, ‘শিরোপার জন্য যে পরিমাণ রিসোর্স দরকার মোহামেডান ক্লাব থেকে এবার তার সবকিছুই করা হয়েছে। এখন খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করছে। আমাদের অবশ্যই চেষ্টা থাকবে, যে সম্মান তারা দেখিয়েছেন সেই আস্থার প্রতিদান যেন দিতে পারি। এবার বেশ ভালো সুযোগ আছে। আমরা মোহামেডানের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে চাই।’
এবার ডিপিএল ফিরছে তার চিরচেনা ওয়ানডে ফরম্যাটে। মুশফিক-রিয়াদরা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ডিপিএলের প্রথম অংশে থাকবেন অনিয়মিত। মুশফিকের বিশ্বাস, চেনা ফরম্যাটে মোহামেডান পাবে ভালো শুরু, জায়গা করে নেবে সুপার লিগ, ‘প্রিমিয়ার লিগ বাংলাদেশের এক নম্বর লিগ, ওয়ানডে ফরম্যাটে। ডিপিএলের জৌলুসটাই ফিফটি ওভার ক্রিকেট। আমরা যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় যাচ্ছি তারা তাড়াতাড়ি সফর শেষ করে এসে যেন খেলতে পারি। ইনপুট যেন দিতে পারি। আমাদের দল সেভাবেই বানানো হয়েছে। দলের গভীরতা অনেক বেশি, ২৫ জনের মত খেলোয়াড় ছিল। তরুণ যারা আছে তাদের সাথে অভিজ্ঞদের মিশ্রণে ভালো দল আছে। আর শুধু মোহামেডান না, অন্যান্য দলেও এমন খেলোয়াড় আছে যারা ন্যাশনাল ডিউটিতে থাকবে। এতে সব দলই কমবেশি দুর্বল হয়ে যাবে। তবে আমাদের দল নিয়ে আমরা খুশি। অনেকের সাথে আলোচ
না করেই দল গড়া হয়েছে। আশা করছি আমরা আসার আগে ভালো অবস্থানে থাকব।’
গতপরশু রাতে রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে হয় মোহামেডানের জার্সি উন্মোচন। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে দলের অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে ক্লাবটি। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থাকায় লিগের বড় একটা সময় খেলতে পারবেন না মুশফিক। থাকবেন না মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে এসে যোগ দেবেন মাহমুদউল্লাহ। সবচেয়ে বড় তারক সাকিব কয় ম্যাচ খেলবেন তা নিশ্চিত নয়। ক্রিকেটটা উপভোগ না করায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও যেতে চান না তিনি।
এই অবস্থায় তার পক্ষে প্রিমিয়ার লিগও খেলার কথা না। মুশফিক না ফেরা পর্যন্ত মোহামেডানের অধিনায়কত্ব করবেন শুভাগত হোম। মুশফিক জানান লিগের শুরু থেকে বড় তারকারা না থাকলেও সমস্যা হবে না, ‘আমাদের দল সেভাবেই গড়া হয়েছে যে আমরা না থাকলেও গভীরতা অনেক থাকবে। সাকিব বা রিয়াদ ভাই কিংবা তাসকিনের মতো ক্রিকেটারদের তো বিকল্প হয় না। তবে বেশ কিছু অভিজ্ঞ ও তরুণ ক্রিকেটারের সমন্বয়ে আমাদের দলটা গড়া হয়েছে। জাতীয় দলে শুধু মোহামেডানের নয়, অন্যান্য দলেরও বেশ কজন ক্রিকেটার থাকবে, সবারই শক্তি কিছু কমবে। আশা করি, আমরা ফেরার আগে খুব ভালো একটা জায়গায় পাব দলকে। আমরা সেই মোমেন্টাম সামনে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করব।’
মোহামেডানের কোচ হিসেবে থাকছেন অভিজ্ঞ কোচ সারওয়ার ইমরান। তিনি জানান এবার বিদেশি হিসেবে পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজকে দলে নিয়েছেন তারা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া হাফিজ লিগ শুরুর আগেই যুক্ত হবেন সাদা-কালো শিবিরে।