হাওর বার্তা ডেস্কঃ এলাচ সুগন্ধিযুক্ত একটি মশলা। খাবারে অতিরিক্ত স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এলাচ। মাংস কিংবা পায়েস রান্না এলাচ ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। এছাড়াও আরো অনেক খাবারেই এলাচ ব্যবহার হয়ে থাকে। এলাচকে মশলার রানীও বলা হয়। এলাচ দুই ধরণের। একটি বড় এলাচ এবং অন্যটি এলাচি।
রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও এলাচের রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ। এটি আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। মুখের দুর্গন্ধ, মাড়ি দিয়ে রক্তপাত অথবা দাঁত ক্ষয় হওয়ার মতো মারাত্মক সমস্যায় এলাচ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এমনকি এলাচের তেল মুখের সমস্যা দূর করতে কার্যকর একটি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এলাচ ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। এছাড়া শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা হুপিংকাশি, ফুসফুস সংক্রমণ ও অ্যাজমার মতো সমস্যায় এলাচ খুবই উপকারী। এলাচ ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
তবে উপকারিতার পাশাপাশি এলাচ খাওয়ার কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এমন চারটি সমস্যা রয়েছে যা কারো থাকলে তার জন্য এলাচ খাওয়া হতে পারে বিপদজ্জনক। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই সমস্যাগুলো সম্পর্কে-
গর্ভাবস্থায় এমনিতেই খাদ্য বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়। এই সময় বেশি এলাচ খাওয়ার ফলে গর্ভপাত হতে পারে। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় এলাচ খেতে চান তবে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবেই এলাচ খান।
যাদের গলব্লাডার বা কিডনিতে স্টোনের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এলাচ ক্ষতিকারক হতে পারে। এলাচের বীজ শরীরে পাথর বাড়াতে পারে। অতএব, এটি গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খান।
যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের এলাচ খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত। এটি গ্রহণের ফলে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও হতে পারে। এছাড়া অনেকের এলাচের থেকেই অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে, তাই আগে জেনে নিয়ে তবেই এলাচ সেবন করুন।
এই সমস্যাগুলি ছাড়া অতিরিক্ত এলাচ খাওয়ার ফলে কাশি ও বমি বমি ভাব হতে পারে। এলাচের স্বাদ ঠান্ডা, তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কাশিও হতে পারে। তাই এমন সমস্যায় ভুগতে পারেন বলে মনে হলে এলাচ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।