হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাইকের জগতে সবচেয়ে পুরোনো এবং প্রতিষ্ঠিত নাম হোন্ডা। হোন্ডার নতুন বাইক মানেই গ্রাহকদের উন্মাদনা বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ। এবার নতুন কোনো বাইক নয়, পুরোনো বাইক ফিরছে নতুন চেহারায়। সেই বাইকটি হচ্ছে হোন্ডা সিবিআর১৫০আর।
যদিও হোন্ডা এখনো এ বিষয়ে খোলাখুলি কিছুই জানায়নি। ২০১২ সালে হোন্ডার এই এন্ট্রি লেভেল ফুল-ফেয়ার্ড স্পোর্টস বাইকটি ভারতীয় বাজারে আত্মপ্রকাশ করেছিল। তবে আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় ২০১৭ সালে বিদায় নেয় হোন্ডা সিবিআর১৫০আর বাইকটি। তবে হোন্ডা তাদের ১৫০ সিসির স্পোর্টস বাইকটিকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় নতুন ইনিংসে গড়ার পরিকল্পনা করছে।
বর্তমান প্রজন্মের হোন্ডা সিবিআর১৫০আর মডেলটি পাওয়ারফুল সিবি৫০০আর ও সিবি৬৫০আর-এর অনুপ্রেরণায় ডিজাইন করা হয়েছে। বাইকটিতে অ্যারোডায়নামিক বডি প্যানেল রয়েছে। সামনে এলইডি হেডল্যাম্প ও এলইডি ডিআরএল আছে। কম্প্যাক্ট উইন্ডস্ক্রিন, স্পোর্টি রিয়ার ভিউ মিরর, লো-সেট ওয়াইড হ্যান্ডেলবার ও স্টেপ-আপ সিটের সঙ্গে এসছে নতুন হোন্ডা সিবিআর১৫০আর।
বাইকটির সাইড প্যানেলগুলো শুধুমাত্র নজর কাড়ার জন্য ডিজাইন করা হয়নি। দ্রুতগতিতে চলার সময়ে হাওয়ার বাঁধা যাতে সহজেই এড়াতে পারে, সে জন্য বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সেগুলোর নকশা করা। বিপরীতধর্মী কালার শেড এবং স্টাইলিশ গ্রাফিক্স হোন্ডা সিবিআর১৫০আর বাইকের স্পোর্টি প্রোফাইলকে আরও উন্নত করেছে।
মালয়েশিয়ায় হোন্ডা সিবিআর১৫০আর ছয়টি এবং ইন্দোনেশিয়ায় দু’টি কালার অপশনে উপলব্ধ। তার মধ্যে মোটোজিপি এডিশনের পাশাপাশি হোন্ডা রেসিং রেড, ডমিনেটর ম্যাট ব্ল্যাক উল্লেখযোগ্য। হোন্ডা সিবিআর১৫০আর ভারতে ভিন্ন পেইন্ট অপশনে লঞ্চ হবে বলে আশা করা যায়, যা আর্ন্তজাতিক মডেলে অনুপস্থিত।
হোন্ডা সিবিআর১৫০আর বাইকে ডায়মন্ড ফ্রেম ব্যবহার করা হয়েছে। সাসপেশনের জন্য সামনে সোনালি রঙের ইউএসডি ফর্ক এবং পেছনে মনোশক আছে। দু’টি চাকায় একটি করে ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে। ডুয়েল চ্যানেল এবিএস অপশনাল হিসেবে রয়েছে।
ভারতীয় বাজারে হোন্ডা সিবিআর১৫০আর বাইকটির মূল্য ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজারের মধ্যেই থাকবে ব্লে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও সংস্থার পক্ষ থেকে এখনো স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।