হাওর বার্তা ডেস্কঃ বয়স্কদের প্রয়োজনে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এ ধরনের ওষুধ বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদিও আজকাল ফার্মেসির বাইরে অনলাইনেও মিলছে এসব ওষুধ যা যৌন স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে মারাত্মক ক্ষতিকর।
দেশের প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, এ সমস্ত যৌন বিকৃত করণের ওষুধ বা নীল ওষুধ মানুষের চিন্তাকে, চেতনাকে, আবেগকে, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেয়।
তিনি বলেন, এসব ওষুধ সেবনে বিকৃত চিন্তা কিংবা বিকৃত মস্তিষ্ক কিংবা বিকৃত আবেদন তৈরি করে। এর প্রভাব পড়ে সমাজে।
বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক আরও বলেন, এ ধরনের ওষুধ সেবনে শুধু যৌন জীবনেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না, ক্রাইম পর্যন্ত হতে পারে। এর থেকে এডিকশন বা আসক্তি হতে পারে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাঈম আকতার আব্বাসী বলেন, ভেজাল যৌন উত্তেজন ওষুধে অনেকেই কেবল যৌন ক্ষমতাই হারান না, ভুগেন দীর্ঘ মেয়াদি রোগে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যেমে এসব ওষুধ বিক্রি করা হয়। এ ওষুধগুলো তৈরি হয় বিভিন্ন ককটেল উপাদান দিয়ে। ফলে সাময়িক শক্তি অনুভব করলেও ভেতরে ভেতরে স্থায়ী ক্ষতির দিকে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম মানুষেরই এ ধরনের যৌন উত্তেজক ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এসব ওষুধ সেবন করলে চিরতরে হারাতে পারে যৌন স্বাস্থ্য।
সূত্র: ডক্টর টিভি