পয়লা বৈশাখ পালনকে ‘বিধর্মীদের সংস্কৃতি’ আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্ষবরণ উৎসব বন্ধের দাবিতে কর্মসূচি পালনকারী ওলামালীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র হানিফ গণমাধ্যমকে বলেন, ওলামা লীগের সাথে আওয়ামী লীগের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। এ ধরনের সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে একই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ সম্পর্কে স্ট্যাটাসে সম্প্রতি তিনি লিখেছেন, ‘ওলামা লীগ! এটা কি খায় না মাথায় দেয়? পহেলা বৈশাখের
বিরুদ্ধে যারা বলে তারা আওয়ামী লীগের কেউ না, দায়িত্ব নিয়ে বলছি……।
শেখ হাসিনা প্রথম সরকারপ্রধান যিনি বৈশাখী ভাতা চালু করেছেন। যেসব অতিবিপ্লবীরা বঙ্গবন্ধুর দল মুসলিম লীগ হয়ে গেছে বলে নাকি কান্না জুড়ে দিয়েছেন তারা দয়া করে থামুন। এদেশ বাঙালি সংস্কৃতি এবং মানুষের জন্য শেখ হাসিনার দরদ আমার আপনার চেয়ে কম নয়।’
উল্লেখ্য, শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধের দাবি জানায় ওলামা লীগ। হিন্দু সম্প্রদায়ের এস কে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি করারও বিরোধিতা করে সংগঠনটি।
এর দুদিন পর সোমবার ওলামালীগ নেতাদের গ্রেফতারের দাবি জানানোর পাশাপাশি এ সংগঠনটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কী সম্পর্ক, তা স্পষ্ট করার আহ্বান আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চার এক একটি সমাবেশ থেকে।
ওলামালীগ স্বীকৃত সহযোগী সংগঠন নয় বলে আওয়ামী লীগ দাবি করলেও এ সংগঠনটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলের নেতাদের অংশগ্রহণ দেখা যায়। তেমনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যায় সংগঠনটির ব্যানারসহ উপস্থিতি।
ওলামা লীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী গত বছর বলেছিলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাদের সংগঠনের দেখভাল করেন প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আবদুল্লাহ ও দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।