কানাডার উত্তরাঞ্চলে একটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা মারাত্মক হারে বেড়ে যাওয়ায় সেখানে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। কানাডার ওন্টারিও প্রদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের একটি সম্প্রদায় ‘আটাওয়াপিসকাট ফার্স্ট ন্যাশন’। আটাওয়াপিসকাট অঞ্চলে একসঙ্গে ১১ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করার পর ওই অঞ্চলে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
সেখানে আজ মানসিক বিশেষজ্ঞ দলও পাঠানো হয়েছে। এই দলটি সেখানে থাকবে এবং সেখানকার প্রায় দু’হাজার মানুষকে মানসিকভাবে সহায়তা দেবার চেষ্টা করবে।
মার্চ মাসে আটাওয়াপিসকাটে ২৮ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
স্থানীয় নেতারা জানাচ্ছেন গত ছয় মাসে ১০০ জনের বেশি নিজেদের প্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্যে একজন মারা যায়।
দারিদ্র্যপীড়িত এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা জীবনের স্বাভাবিক প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ হয়ে হতাশা থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
কানাডার প্রায় ১৪ লাখ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন যাপন করে। তাদের আয়ু কানাডার গড় আয়ুর চেয়ে কম।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, “এ খবর আমাদের জন্য হৃদয়বিদারক”।
আটাওয়াপিসকাট ফার্স্ট ন্যাশন সম্প্রদায়ের প্রধান ব্রুস শিশেশ জানিয়েছেন, গত শনিবার ১১ জন তাদের জীবন নেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে তাকে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করতে হয়েছে।
এ ঘোষণা দেওয়ার পর সেখানে জরুরী মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মানসিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যানগাস চার্লি বলেছেন, “এটি প্রায় ঘটছে। এ জন্য সম্প্রদায়ের লোকজন প্রভাবিত হচ্ছে। তবে এ নিয়ে সরকারের কোনো পর্যায় থেকে আজ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি”। -বিবিসি বাংলা