ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউরোপের দেশগুলোতে বন্ধ হতে পারে মেটার ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইউরোপের দেশগুলোতে বন্ধ হতে পারে মেটার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম। ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক থাকলেও এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে মেটা। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে ইউরোপে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের বন্ধ করে দিতে পারে।

সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ সতর্কবার্তা দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাগরিকদের তথ্য স্থানান্তর বন্ধ করতে একটি নতুন আইন প্রনয়নে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে মেটা।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যদি একটি নতুন ট্রান্সলান্টিক তথ্য স্থানান্তর কাঠামো গৃহীত না হয় এবং আমরা যদি এসসিসির (স্ট্যানডার্ড কনট্রাকচুয়াল ক্লজেস) ওপর নির্ভরশীলতা বজায় রাখতে না পারি অথবা ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য স্থানান্তরের কোনো বিকল্প উপায় না থাকে তাহলে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সেবাগুলো ইউরোপে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।’

এ ধরনের আইন বস্তুগতভাবে মেটার ব্যবসা, আর্থিক পরিস্থিতি এবং কার্যক্রমের ফলাফলের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

মেটার মুখপাত্র বলেন, ইউরোপ থেকে চলে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা এবং পরিকল্পনা নেই তাদের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আগেভাগেই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাস্তবতা হলো আন্তর্জাতিক পরিসরে সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মেটা এবং অন্যান্য ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান ও সেবাসংস্থাকে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তথ্য স্থানান্তরের ওপর নির্ভর করতে হয়।

তথ্য স্থানান্তরের আইনগত ভিত্তি হিসেবে এসসিসি ব্যবহার না করা যায় তাহলে ফেসবুককে ইউরোপিয় ব্যবহারকারীদের থেকে সংগ্রহ করা বেশিরভাগ তথ্য ইউরোপকে বন্ধ করে দিতে হবে। আইন মানতে ব্যর্থ হলে ফেসবুককে বার্ষিক আয়ের ৪ শতাংশ অথবা ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানা ধার্য্য করতে পারে ডিপিসি।

এদিকে গত সপ্তাহে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফেসবুক দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা হারিয়েছে। এতে মেটার শেয়ার দরে ২৫ শতাংশ ধস নামে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে ১০ লাখ। তারপরও এমন সিদ্ধান্তে যাচ্ছে মেটা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউরোপের দেশগুলোতে বন্ধ হতে পারে মেটার ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম

আপডেট টাইম : ০৮:০২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইউরোপের দেশগুলোতে বন্ধ হতে পারে মেটার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম। ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক থাকলেও এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে মেটা। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে ইউরোপে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের বন্ধ করে দিতে পারে।

সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ সতর্কবার্তা দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাগরিকদের তথ্য স্থানান্তর বন্ধ করতে একটি নতুন আইন প্রনয়নে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে মেটা।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যদি একটি নতুন ট্রান্সলান্টিক তথ্য স্থানান্তর কাঠামো গৃহীত না হয় এবং আমরা যদি এসসিসির (স্ট্যানডার্ড কনট্রাকচুয়াল ক্লজেস) ওপর নির্ভরশীলতা বজায় রাখতে না পারি অথবা ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য স্থানান্তরের কোনো বিকল্প উপায় না থাকে তাহলে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সেবাগুলো ইউরোপে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।’

এ ধরনের আইন বস্তুগতভাবে মেটার ব্যবসা, আর্থিক পরিস্থিতি এবং কার্যক্রমের ফলাফলের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

মেটার মুখপাত্র বলেন, ইউরোপ থেকে চলে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা এবং পরিকল্পনা নেই তাদের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আগেভাগেই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাস্তবতা হলো আন্তর্জাতিক পরিসরে সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মেটা এবং অন্যান্য ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান ও সেবাসংস্থাকে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তথ্য স্থানান্তরের ওপর নির্ভর করতে হয়।

তথ্য স্থানান্তরের আইনগত ভিত্তি হিসেবে এসসিসি ব্যবহার না করা যায় তাহলে ফেসবুককে ইউরোপিয় ব্যবহারকারীদের থেকে সংগ্রহ করা বেশিরভাগ তথ্য ইউরোপকে বন্ধ করে দিতে হবে। আইন মানতে ব্যর্থ হলে ফেসবুককে বার্ষিক আয়ের ৪ শতাংশ অথবা ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানা ধার্য্য করতে পারে ডিপিসি।

এদিকে গত সপ্তাহে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফেসবুক দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা হারিয়েছে। এতে মেটার শেয়ার দরে ২৫ শতাংশ ধস নামে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে ১০ লাখ। তারপরও এমন সিদ্ধান্তে যাচ্ছে মেটা।