হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাদাম খুবই স্বাস্থ্যকর একটি স্ন্যাক্স। যা যেকোনো সময়ই মানুষ খেয়ে থাকেন। তবে বিকেলে বন্ধুদের আড্ডায় বাদাম বেশ মানিয়ে যায়। তাছাড়া যারা ডায়েট করেন তাদের খাদ্য তালিকায় বাদাম থাকেই থাকে। কারণ বাদাম দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে দেহে শক্তিও যোগায়। বাদাম খেলে ওজনও কমে দ্রুত।
তাই বলে অতিরিক্ত বাদাম খাওয়া মোটেও সঠিক নয়। এটি অস্বস্তির কারণ হতে পারে। যদিও চিনাবাদাম অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, কিন্তু অতিরিক্ত খেলে তো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবেই! তাই দিনে কতটুকু চিনাবাদাম খেতে পারবেন তা জেনে নেয়া জরুরি।
চিনাবাদাম প্রোটিন, চর্বি, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি সমৃদ্ধ। এটি স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস যা আপনাকে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, কপার এবং আরজিনিনের মতো ট্রেস মিনারেল রয়েছে। প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকার কারণে খাদ্যতালিকায় নিয়মিত চিনাবাদাম রাখলে উপকার পাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য দিনে এক মুঠো চিনাবাদামই যথেষ্ট।
আপনি যদি আপনার পাউরুটির স্লাইসে পিনাট বাটার মাখিয়ে খেতে ভালোবাসেন তাহলে দিনে ২ টেবিল চামচ খাওয়াই স্বাস্থ্যকর। চিনাবাদাম খাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো সন্ধ্যায় নাস্তা হিসেবে খাওয়া। চিনাবাদাম খাওয়ার সময় কিছু বিষয়ের দিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।
এলার্জি থেকে সতর্ক থাকুন
চিনাবাদামের কারণে এলার্জি বেশ সাধারণ, বিশেষ করে শিশুর জন্য। এমনকি অল্প চিনাবাদামও কারো কারো ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এবং এর ফলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ও মুখে ঝাঁকুনি, ত্বকের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট এবং হজমের সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় এটি মারাত্মক হতে পারে।
পেটের সমস্যা হতে পারে
একবারে খুব বেশি চিনাবাদাম খাওয়ার ফলে পেটে অস্বস্তিও হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া এবং পেট ফোলার মতো সমস্যা অতিরিক্ত চিনাবাদাম খাওয়ার কারণে হতে পারে। সুতরাং, যদি আপনি ইতিমধ্যেই পেট সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে পরিমিত চিনাবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এটি খনিজ শোষণকে বাধা দিতে পারে
চিনাবাদাম ফসফরাসের একটি চমৎকার উৎস, যা ফাইটিক অ্যাসিড বা ফাইটেট আকারে সংরক্ষণ করা হয়। একবারে অত্যধিক ফাইটেট গ্রহণ করলে তা অন্যান্য খনিজ যেমন আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের শোষণকে বাধা দিতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি পুষ্টির ঘাটতির কারণ হতে পারে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার দরজা খুলে দিতে পারে।
ওজন কমাতে বাধা দিতে পারে
চিনাবাদাম সস্তা এবং স্বাস্থ্যকর, তবে এতে ক্যালোরিও বেশি। ডায়েটিং করার সময় অতিরিক্ত চিনাবাদাম খেলে তা আপনার ওজন কমানোর পরিকল্পনাকে নষ্ট করতে পারে এবং ওজন বাড়াতে পারে। আপনি যদি ডায়েটিং করেন তাহলে দিনে এক মুঠো চিনাবাদাম যথেষ্ট। এটি আপনাকে ১৭০ ক্যালোরি সরবরাহ করবে এবং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখবে।