নির্বাচনের আরও কয়েক মাস বাকি থাকলেও কে হচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। বাংলাদেশি একজন জ্যোতিষী বলছেন, সাবেক ফার্স্টলেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনই হতে যাচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশটির প্রেসিডেন্ট। জ্যোতিষী ড. কে. সি. পাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘হিলারি ক্লিনটন সাবেক সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের এই সহধর্মিণীর জীবনে ২০১৬ সালটি স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবে। তার জীবনে নতুন এক অধ্যায় রচিত হওয়ার জন্য রেকর্ড হয়ে থাকবে এ বছর। কারণ দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনিই স্বীকৃতি পাবেন।’ কে. সি. পাল আরও বলেন, ‘হিলারি ক্লিনটন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী চলা মহাদুর্যোগের মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন। আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী দমনে তার একক নেতৃত্বগুণ বিশ্বনেতাদের এক কাতারে বসাতে সাহায্য করবে। এর ফলে শুধু আমেরিকা নয়, সমগ্র বিশ্ব তার নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবে।’ তবে শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে হিলারি ক্লিনটনের সতর্ক থাকার আবশ্যকতা রয়েছে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এই জ্যোতিষী।
প্রেসিডেন্ট পদে দলীয় মনোনয়নে এ পর্যন্ত মোট ডেলিগেটের হিসেবে হিলারি ক্লিনটন ২১৯ ভোটে এগিয়ে। কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিকদের সমর্থনের জোরে তিনি জুলাইতে ডেমোক্রেটিক দলের কনভেনশনে বিজয়ের সম্ভাবনা ধরে রেখেছেন। তবে শ্বেতাঙ্গ ও তরুণদের মধ্যে তার সমর্থনের অভাব রয়েছে। তা ছাড়া সর্বশেষ গত শনিবার অঙ্গরাজ্য ওয়াইওমিংয়ে দলের ককাসে হেরে গেছেন হিলারি। জিতেছেন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। বার্নি এ নিয়ে দলের বাছাই পর্যায়ের গত নয়টি নির্বাচনের আটটিতেই জয়ী হলেন। হিলারি আশা করছেন, আগামী ১৯ এপ্রিল নিউইয়র্কের প্রাইমারি নির্বাচনে ভালোভাবে জিতে স্যান্ডার্সের বিজয়যাত্রা থামিয়ে আরও এগিয়ে যাবেন। বার্নি স্যান্ডার্স ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সৃষ্টি করলেও ডেমোক্রেটিক দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে হিলারিকেই এগিয়ে রাখছেন বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে, রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও টেড ক্রুজ। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কে কোন দলের প্রার্থী হবেন তা নির্ধারণের অংশ হিসেবে রাজ্যগুলোতে প্রাইমারি ও ককাস নামে ভোটাভুটি হয়।