হাওর বার্তা ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবি হলেও এই সংস্করণে গত বছর বৈচিত্র্যময় বুদ্বিদীপ্ত বোলিংয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তারই স্বীকৃতি মিলল বুধবার।
বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা করে নেন এ বাঁহাতি পেসার।
কিন্তু একদিন পরই দেখা গেল, শুধু মোস্তাফিজই নন, বর্ষসেরা তালিকায় নাম রয়েছে আরও দুই বাংলাদেশি তারকার।
তারা হলেন— সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
এমন সুসংবাদের আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে পারে যে বিষয়টি, তা হলো— বর্ষসেরা ওয়ানডে দলের এই একাদশে বাংলাদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন।
বিস্ময়করভাবে এবার ভারত ও নিউজিল্যান্ডের একজন ক্রিকেটারও জায়গা পাননি বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে।
দলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার দুই প্রতিনিধি অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ ও পেসার জশ হ্যাজলউড থাকলেও একাদশে ঠাঁই হয়নি তাদের।
পাকিস্তান ও শ্রীলংকা দলের দুজন করে জায়গা পেয়েছেন বর্ষসেরা দলে।
টি-টোয়েন্টিতে এক বছরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়া পাকিস্তানের কিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান নেই এ তালিকায়।
পাকিস্তানের আরেক প্রতিনিধি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিও দলে থাকলেও তার নাম আসেনি একাদশে।
তবে দুর্দান্ত ফর্মে থেকে এই একাদশের নেতৃত্ব পেয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। রিজওয়ানের বদলে পাকিস্তান থেকে ঠাঁই পেয়েছেন ফখর জামান।
ওপেনিংয়ে রাখা হয়েছে আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিং ও ইংল্যান্ডের মারকুটে ব্যাটার জানেমান মালানকে।
বাংলাদেশের দুই তারকা ব্যাটার সাকিব ও মুশফিককে রাখা হয়েছে মিডল অর্ডারে।
পল স্টার্লিংয়ের দেশের আরেক তারকা সিমি সিং চমক দেখিয়ে ঢুকে পড়েছেন একাদশে।
শ্রীলংকার থেমে জায়গা পেয়েছেন দুজন— ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দশমন্ত চামিরা।
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক টি ২০তে ২০ ম্যাচে ১৭.৩৯ গড়ে ২৮ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে ওভারপ্রতি দিয়েছেন মাত্র ৭ রান। বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশের পেসারের মধ্যে মোস্তাফিজেরই উইকেট সর্বোচ্চ।
আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে দল (পুরুষ)
বাবর আজম (অধিনায়ক, পাকিস্তান), ফখর জামান (পাকিস্তান), জানেমান মালান (ইংল্যান্ড), মোস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ), সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) ও মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলংকা), দুশমন্ত চামিরা (শ্রীলংকা), পল স্টার্লিং (আয়ারল্যান্ড), সিমি সিং (আয়ারল্যান্ড), রসি ভ্যান ডার ডুসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা)।