ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার কবরের পাশে দিন-রাত বসে থাকি, ছেলে ফিরে আসে না সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত কাকে ‘ননসেন্স’ বললেন বুবলী ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের সচিবালয়ে প্রবেশে অস্থায়ী পাসের ব্যাপারে বিশেষ সেল গঠন জর্জিনাকে ‘স্ত্রী’ সম্বোধন, তবে কি বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন রোনালদো ৩১ ডিসেম্বর আসছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

সরিষার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৭:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৩৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনুকূল আবহাওয়া আর রোগবালাই কম থাকায় বান্দরবানে ভালো হয়েছে সরিষার আবাদ। মৌ-মৌ সুগন্ধে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় দ্রুত বেড়ে উঠেছে সরিষার গাছগুলো, আর কয়দিন পরেই শুরু হবে জমি থেকে সরিষা তোলার কাজ। এদিকে ভালো ফলনের সম্ভাবনায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

বান্দরবানের সুয়ালক সুলতানপুরের সরিষা চাষি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছর ধরে অল্প অল্প করে সরিষা চাষ শুরু করি, এবছর বাজারে সরিষার ভালো দাম থাকার কারণে আমি প্রায় ২ একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি, গাছে ফলন ও বেশ ভালো আশা করছি এবার ভালো লাভবান হবো।

রেইচা এলাকার সরিষা চাষি করিম উল্লাহ বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছি। এবার ভালো ফলন ও হয়েছে, আশা করছি ভালো লাভবান হবো। গতবছর প্রতি মণ সরিষা ৩ হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি করেছি, এবছর বাজারে সরিষার ভালো চাহিদা রয়েছে। তাই আশা করছি, এবছর ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবো।

রোয়াংছড়ির তারাছা এলাকার চাষি ক্যসাউ মারমা বলেন, আমি প্রতিবছর সরিষার চাষ করি, এতে করে আমার জমির যেমন উর্বরতা বাড়ে তেমনি আমি আমার জমি থেকে উৎপাদিত সরিষা দিয়ে পরিবারের তেলের চাহিদা পূরণ করে আসছি এবং এবছর আমি সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ করার জন্য ৪-৫টা বক্স ও বসিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আশা করছি এখান থেকে সরিষা এবং মধু দুটোই পাবো এবার।

এদিকে কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়াতে মাঠপর্যায়ে নানা ধরনের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ।

তিনি বলেন, সারা দেশের তুলনায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সমতল ভূমির পরিমাণ খুবই কম। এর কারণে এখানে একই জমিতে বারবার চাষাবাদ করতে হয়, এতে করে জমির উর্বরতা কমে যায় তাই আমরা বার বার আবাদ করা জমির উর্বরতা বাড়াতে কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগের সহায়তায় বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষার আবাদ এবং উৎপাদন দুইটাই বেড়েছে। আমরা চাই এলাকার কৃষক যাতে তাদের নিজেদের উৎপাদিত সরিষা থেকে তেল পরিশোধন করে নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিক্রি করে লাভবান হয়।

বান্দরবান কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গতবছর বান্দরবানে সরিষার আবাদ হয়েছিল ১০২ হেক্টর যা এবছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯ হেক্টর আর গতবছর ১৩০ মেক্টিক টন সরিষার উৎপাদন হলেও এবছর ১৫৫ মেক্টিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার

সরিষার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট টাইম : ০৯:২৭:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনুকূল আবহাওয়া আর রোগবালাই কম থাকায় বান্দরবানে ভালো হয়েছে সরিষার আবাদ। মৌ-মৌ সুগন্ধে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় দ্রুত বেড়ে উঠেছে সরিষার গাছগুলো, আর কয়দিন পরেই শুরু হবে জমি থেকে সরিষা তোলার কাজ। এদিকে ভালো ফলনের সম্ভাবনায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

বান্দরবানের সুয়ালক সুলতানপুরের সরিষা চাষি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছর ধরে অল্প অল্প করে সরিষা চাষ শুরু করি, এবছর বাজারে সরিষার ভালো দাম থাকার কারণে আমি প্রায় ২ একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি, গাছে ফলন ও বেশ ভালো আশা করছি এবার ভালো লাভবান হবো।

রেইচা এলাকার সরিষা চাষি করিম উল্লাহ বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছি। এবার ভালো ফলন ও হয়েছে, আশা করছি ভালো লাভবান হবো। গতবছর প্রতি মণ সরিষা ৩ হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি করেছি, এবছর বাজারে সরিষার ভালো চাহিদা রয়েছে। তাই আশা করছি, এবছর ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবো।

রোয়াংছড়ির তারাছা এলাকার চাষি ক্যসাউ মারমা বলেন, আমি প্রতিবছর সরিষার চাষ করি, এতে করে আমার জমির যেমন উর্বরতা বাড়ে তেমনি আমি আমার জমি থেকে উৎপাদিত সরিষা দিয়ে পরিবারের তেলের চাহিদা পূরণ করে আসছি এবং এবছর আমি সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ করার জন্য ৪-৫টা বক্স ও বসিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আশা করছি এখান থেকে সরিষা এবং মধু দুটোই পাবো এবার।

এদিকে কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়াতে মাঠপর্যায়ে নানা ধরনের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ।

তিনি বলেন, সারা দেশের তুলনায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সমতল ভূমির পরিমাণ খুবই কম। এর কারণে এখানে একই জমিতে বারবার চাষাবাদ করতে হয়, এতে করে জমির উর্বরতা কমে যায় তাই আমরা বার বার আবাদ করা জমির উর্বরতা বাড়াতে কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগের সহায়তায় বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষার আবাদ এবং উৎপাদন দুইটাই বেড়েছে। আমরা চাই এলাকার কৃষক যাতে তাদের নিজেদের উৎপাদিত সরিষা থেকে তেল পরিশোধন করে নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিক্রি করে লাভবান হয়।

বান্দরবান কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গতবছর বান্দরবানে সরিষার আবাদ হয়েছিল ১০২ হেক্টর যা এবছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯ হেক্টর আর গতবছর ১৩০ মেক্টিক টন সরিষার উৎপাদন হলেও এবছর ১৫৫ মেক্টিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।