বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ক্রুড অয়েল (অপরিশোধিত তেল) পরিবহনে ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে (৮০০ কোটি টাকা) দু’টি মাদার ট্যাংকার কিনছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)।
বৃহস্পতিবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিএসসির সঙ্গে চায়না কোম্পানির ক্রয় সংক্রান্ত এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়। এ সময় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় উপস্থিত ছিলেন।
এমওইউ-তে স্বাক্ষর করেন বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া এবং চায়না পেট্রোলিয়াম টেকনোলজি অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট কর্পোরেশনের (সিপিটিডিসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্যান শিহং। প্রতিটি ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাংকার নির্মাণ চুক্তির দু’বছরের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছবে।
এর ফলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক বিদেশ হতে আমদানিকৃত ক্রুড অয়েল (অপরিশোধিত তেল) চট্টগ্রাম বহিঃনোঙ্গর পর্যন্ত পরিবহন করা যাবে। জি টু জি পদ্ধতিতে মাদার ট্যাংকারের প্রতিটির ব্যয় হবে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
উল্লেখ্য, জাহাজ দু’টি ক্রয় করা হলে বিদেশি জাহাজের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। তাছাড়া ক্রুড অয়েলের ন্যায় একটি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ পণ্য পরিবহনে অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এছাড়াও জাহাজ ভাড়ায় দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থিতিশীলতা বজায় থাকাসহ আন্তর্জাতিক যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এ জাহাজের মাধ্যমে তেল পরিবহন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তাছাড়া মেরিন একাডেমি হতে উত্তীর্ণ ক্যাডেটদের যথাযথ প্রশিক্ষণসহ শিপিং সেক্টরে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং স্বপ্নের ‘ব্লু-ইকোনমির’ সুফল অর্জনে দেশ একধাপ এগিয়ে যাবে।
শিপিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবত সর্বমোট ৩৮টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমান বিএসসি বহরে পাঁচটি জাহাজ রয়েছে।