হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের কোচ ও নির্বাচকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বরাবর চিঠি দিয়েছিলেন জাহানারা আলম। গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলে জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে এই চিঠি দেন পেসার জাহানারা। ধারণা করা হচ্ছে তারই জেরে তাকে কমনওয়েলথ গেমসে বাছাইপর্বের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিসিবি জানিয়েছে, বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাই সতর্কতা ও গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। জিম্বাবুয়ে সফরে আসলেই কী ঘটেছিল সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি বিসিবির পরিচালক ও নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী। যা ঘটেছে তা সবার সামনে এলে ‘নারী ক্রিকেটের জন্য ক্ষতি’ হবে বলে এড়িয়ে গেছেন।
জাহানারা ইস্যুতে মঙ্গলবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের অভিভাবক। যতদিন আমি উইমেন উইংসে কাজ করব, ততদিন আমার দলের প্রত্যেকের অভিভাবক আমি। সবার ভালোর দায় আমার, খারাপটার দায়ও আমার। আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই। অনেক বিষয় থাকে যা সামনে আনলে আমাদের পুরো ক্রিকেটের, মহিলা ক্রিকেটের ক্ষতি হয়, এমন বিষয় আমি এড়িয়ে যেতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘এখানে পক্ষে-বিপক্ষে যাওয়ার কিছু নেই। আমরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যেতে চাই। বোর্ড, ম্যানেজমেন্ট, সংগঠক-আমাদের মাঝে খেলোয়াড়রা সন্তানের মতো। তারা আমাদের ছোট বোন, ছোট ভাইয়ের মতো। চলার পথে তাদের কিছু ভুল হতেই পারে। আমরা তা সংশোধনের জন্য সহনশীল ও অভিভাবকসুলভ মনোভাব যেটা দেখানোর সেটাই আমরা দেখাব।’
শফিউল মনে করেন যে ঘটনা ঘটেছে, তা সামনে এলে ক্রিকেটের চরম ক্ষতি হবে। তিনি বলেন, ‘এটা স্পর্শকাতর ইস্যু। প্রত্যেকেরই নিজের জায়গায় পেশাদারিত্ব বজায় রাখা, দেশের স্বার্থে ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে এসব বিবেচনায় নেওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কিছু প্রমাণ আছে, যেটা আপনাদের সামনে দেখাতে চাই না। দেখালে আপনারা লজ্জা পাবেন। আমরা বিষয়টাকে ইতিবাচক হিসাবেই নিতে চাই। যার কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তিনি জানিয়েছেন, দায়িত্ব নিয়েই বিষয়টি দেখবেন।’