ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এইচএসসির ফরম পূরণের টাকা ফেরত পেলো শিক্ষার্থীরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৩৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবশেষে ফরম পূরণের টাকা ফেরত পেলো নওগাঁর মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ১৯ শিক্ষার্থী। গত দুই দিনে ১১ হাজার ৯৬৫ টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা মো. নুরজ্জামান।

জানা গেছে, মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে বিজ্ঞান বিভাগের তিন জন, মানবিক বিভাগের ১০ জন ও অনিয়মিত ছয়জনসহ মোট ১৯ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করে। করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে এইচএসসির বোর্ড পরীক্ষা হয়নি। বোর্ড পরীক্ষা না হওয়ায় ২০২১ সালের ৮ মার্চ ফরম পূরণের ১১ হাজার ৯৬৫ টাকা ওই প্রতিষ্ঠানে ফেরত আসে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফেরত আসা টাকা দিতে গড়িমসি করছিল প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা মো. নুরজ্জামান শিক্ষার্থীদের মাঝে ৮ ও ৯ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের প্রাপ্য টাকা ফেরত দেন।

ফরম পূরণের টাকা ফেরত পাওয়া প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান ও আল আমিন জানায়, এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করা হয়। পরে ঘোষণা আসে বোর্ড পরীক্ষা হবে না এবং যারা ফরম পূরণ করেছে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বোর্ড থেকে টাকা ফেরত আসলেও আমাদের দেওয়া হচ্ছিল না। বার বার স্যারকে বলেছিলাম টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। অবশেষে টাকা ফেরত পেয়েছি। টাকা ফেরত পাওয়ায় অভাবের সময় আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা মো. নুরজ্জামান বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে আমি ওই টাকার কথা এক পর্যায়ে ভুলে যাই। বোর্ড থেকে পাঠানো টাকা আমি আত্মসাৎ করিনি। ওই টাকা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা ছিল। প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রাক্তন শিক্ষার্থী আমাকে ভুল বুঝে আমার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে যা সঠিক নয়। টাকাগুলো শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করেছি।

মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে আমি আগে জানতাম না। তিনি বোর্ড থেকে ফেরত আসা ফরম পূরণের টাকা গত দুইদিন থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন বলে শুনেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এইচএসসির ফরম পূরণের টাকা ফেরত পেলো শিক্ষার্থীরা

আপডেট টাইম : ১০:১৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবশেষে ফরম পূরণের টাকা ফেরত পেলো নওগাঁর মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ১৯ শিক্ষার্থী। গত দুই দিনে ১১ হাজার ৯৬৫ টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা মো. নুরজ্জামান।

জানা গেছে, মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে বিজ্ঞান বিভাগের তিন জন, মানবিক বিভাগের ১০ জন ও অনিয়মিত ছয়জনসহ মোট ১৯ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করে। করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে এইচএসসির বোর্ড পরীক্ষা হয়নি। বোর্ড পরীক্ষা না হওয়ায় ২০২১ সালের ৮ মার্চ ফরম পূরণের ১১ হাজার ৯৬৫ টাকা ওই প্রতিষ্ঠানে ফেরত আসে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফেরত আসা টাকা দিতে গড়িমসি করছিল প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা মো. নুরজ্জামান শিক্ষার্থীদের মাঝে ৮ ও ৯ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের প্রাপ্য টাকা ফেরত দেন।

ফরম পূরণের টাকা ফেরত পাওয়া প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান ও আল আমিন জানায়, এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করা হয়। পরে ঘোষণা আসে বোর্ড পরীক্ষা হবে না এবং যারা ফরম পূরণ করেছে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বোর্ড থেকে টাকা ফেরত আসলেও আমাদের দেওয়া হচ্ছিল না। বার বার স্যারকে বলেছিলাম টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। অবশেষে টাকা ফেরত পেয়েছি। টাকা ফেরত পাওয়ায় অভাবের সময় আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা মো. নুরজ্জামান বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে আমি ওই টাকার কথা এক পর্যায়ে ভুলে যাই। বোর্ড থেকে পাঠানো টাকা আমি আত্মসাৎ করিনি। ওই টাকা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা ছিল। প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রাক্তন শিক্ষার্থী আমাকে ভুল বুঝে আমার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে যা সঠিক নয়। টাকাগুলো শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করেছি।

মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে আমি আগে জানতাম না। তিনি বোর্ড থেকে ফেরত আসা ফরম পূরণের টাকা গত দুইদিন থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন বলে শুনেছি।