পিছিয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যোন্নয়নে অবদান রাখার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন ফজলে হাসান আবেদ। বুধবার ‘টমাস ফ্রান্সিস জুনিয়র মেডেল অব গ্লোবাল পাবলিক হেলথ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
ডায়রিয়ার চিকিৎসায় বিজ্ঞানসম্মত প্রতিরোধব্যবস্থার প্রসারে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ বুধবার দিবাগত রাত ১টায় মিশিগান ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট মার্ক শ্লিসেল আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে এই পদক প্রদান করেন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ফজলে হাসান আবেদ বলেন, ‘টমাস ফ্রান্সিস জুনিয়র মেডেল অব গ্লোবাল পাবলিক হেলথ পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদান করার জন্য আমি মিশিগান ইউনিভার্সিটিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন ও কার্যকর কলাকৌশলের অভাব নয় বরং এর কার্যকারিতা, ফলপ্রসূতা ও বিস্তারের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। বর্তমানে নতুন নতুন প্রযুক্তি দারিদ্র্য নিরসনের ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। তবে আমরা যেন ভুলে না যাই যে, অনেক সমাধান ইতোমধ্যেই আমরা পেয়ে গেছি। কাজেই কীভাবে আমরা লাখ লাখ লোকের কাছে আমাদের সেবা পৌঁছে দিতে পারি এটাই হওয়া উচিত আমাদের মূল লক্ষ্য।’
উল্লেখ্য, টমাস ফ্রান্সিস জুনিয়র ছিলেন মিশিগান ইউনিভার্সিটির মহামারী বিশেষজ্ঞ, যার তত্ত্বাবধানে ডক্টর জোনাস স্যাল্ক পোলিও ভ্যাকসিনের উন্নয়নে অবদান রাখেন। তারই সম্মানে জরুরি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।