হাওর বার্তা ডেস্কঃ তাকে নিয়ে ক্রিকেট অনুরাগী মহলে আছে দুই রকম ধারণা। এক পক্ষের দাবি, খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ। মাঠ আর ঘাসের সঙ্গে তার অন্যরকম সখ্য। ক্রিকেটই ধ্যান-জ্ঞান। ক্রিকেটাররাই তার সবচেয়ে কাছের মানুষ। তাদের সুখ-দুঃখের সাথী সুজন।
মাঠ ও মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবেই পরিচিত সুজন। ক্রিকেটারদের দুঃসময়ে যাকে পাওয়া যায়। প্রিমিয়ার লিগ কিংবা বিপিএলে কেউ দল পাচ্ছেন না, ছুটে যান ‘সুজন কাকা’র কাছে।
ক্লাব ক্রিকেট, বিপিএল আর জাতীয় দল-সব জায়গায়ই ক্রিকেটারদের স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা থাকে সুজনের। আর সে কারণেই ‘চাচা সুজন’ ক্রিকেটারদের বড় অংশের প্রিয়।
অন্যপক্ষের দাবি, সুজন একা অনেকগুলো পদ আটকে বসে আছেন। তিনি বোর্ড পরিচালক, বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান । জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনায় আছেন। ক্লাব কোচিং করান। আবাহনীর প্রধান কোচ আবার বিপিএলেরও কোনো না কোন দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন। একই ব্যক্তির এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকা নিয়েও বেশ কথা হয়। আছে সমালোচনাও।
তারপরও এটা ধ্রুবতারার মত সত্য, খালেদ মাহমুদ সুজনের আন্তরিকতায় ঘাটতি নেই। হোক তা জাতীয় দল, আবাহনী কিংবা বিপিএলের কোনো দল- তিনি যে দলের সঙ্গেই থাকেন না কেন, শতভাগ উজাড় করে দেন। সাফল্য পেতে সর্বাত্মক চেষ্টাও থাকে।
এবার সেই নিবেদিতপ্রাণ মানুষটির অকুণ্ঠ প্রশংসা করলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বৃহস্পতিবার শেরে বাংলায় গণমাধ্যমের সাথে আলাপে জাতীয় দলের সর্বকালের সফলতম অধিনায়ক পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডে জাতীয় দলের সঙ্গে সুজনের থাকাটা একটা বড় প্লাস পয়েন্ট। দলকে সাহস জোগাতে, অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করতে সুজনেরও বড় ভূমিকা আছে।
খালেদ মাহমুদ সুজনকে ক্রিকেটারদের শুভাকাঙ্খী আখ্যা দিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের জন্য উনি ইতিবাচক একজন মানুষ। এজন্যই উনার কথা বলেছি। শৃঙ্খলা রাখার ক্ষেত্রেও, খেলোয়াড়দের সাথে কতটুকু আলোচনা করতে হবে, কী প্রয়োজন, সুযোগ সুবিধা সবকিছুর দিকে খেয়াল রাখেন। এই জায়গা থেকে সুজন ভাইর কথা বলতেই হবে।’