হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীত অনেকেরই বেশ পছন্দের ঋতু। তবে পছন্দের ঋতু হলেও এই সময় বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শীতে ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্যের কিছু ক্ষতি হয়ে থাকে। যার মধ্যে প্রধান সমস্যা হল পানি শূন্যতা তৈরি হওয়া।
গরমে আমাদের যেভাবে পানির পিপাসা পায়, শীতকালে তেমন পিপাসা পায় না। মূলত শীতকালে ঠাণ্ডা থাকার কারণে আমাদের পানির পিপাসা অনুভূত হয় না। তাই পানি কম খাওয়া পড়ে। যা আমাদের শরীরকে পানি শূন্য করে তোলে। এছাড়া এ সময় পরিবেশ থাকে রুক্ষ। বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকায় খুব দ্রুত পানি শোষণ করে নেয়। তাই আমাদের শরীরে যে অংশ বের হয়ে থাকে ওইসব অংশ খুব দ্রুত শুস্ক হয়ে যায়।
পানিশূন্যতার লক্ষণ
শুষ্ক মুখ বা ত্বক, ক্লান্তি, প্রস্রাবের হার বৃদ্ধি বা হ্রাস (স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক গাঢ় রঙ সহ), মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ঘোরা, গুরুতর পানিশূন্যতার ফলে সামান্য থেকে প্রস্রাব না হওয়া, চরম তৃষ্ণা, ডুবে যাওয়া চোখ, কুঁচকে যাওয়া/শুষ্ক ত্বক, নিম্ন রক্তচাপ, দ্রুত হৃদস্পন্দন, দ্রুত শ্বাস, জ্বর এবং প্রলাপ, ঠোঁট, পায়ের গোড়ালি, হাতের কনুই রুক্ষ হয়ে যায়।
সমাধানের উপায়
শরীরের উন্মুক্ত অংশে ঘন ঘন ভ্যাসলিন বা লোশন লাগাতে হবে ভালো করে। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে এক গ্লাস গরম পানি পান করা অত্যন্ত উপকারী। এ সময় আপনার গ্লাসে এক টুকরো লেবু বা এক চিমটি সেল্টিক সামুদ্রিক লবণ যোগ করতে পারেন।
দিনের বেলা আপনার তরল খাদ্যগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে পারেন। প্রথম নিয়ম হল, সারা রাত ঘুমানোর পর শরীরের পানি শূন্যতা দূর করা করা। তাই ঘুম থেকে উঠে অন্য কিছুর আগে পানি তারপরে কফি, সবুজ বা ভেষজ চা বা টিউমেরিক ল্যাটেসও উপভোগ করা। আরেকটি বিকল্প হল কেবল উষ্ণ পানি। নারকেল পানিও পান করতে পারেন জলের বিকল্প হিসেবে।
হাড়ের ঝোল দিয়ে স্যুপ তৈরি করুন – আপনি আপনার পুষ্টি (প্রচুর শাকসবজি) কমাতে পারবেন এবং একই সঙ্গে আপনার হাইড্রেশন যোগ করতে পারবেন। এমন পোশাক পরুন, যা আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
কৃত্রিম উপায়ে ঘর গরম করার চেয়ে ফ্রেশ বাতাস উপভোগ করুন।
মূল কথা হল, শরীরের পানির সমতা বজায় রাখতে বেশি বেশি পানি পান করতে বলা হয়ে থাকে। আরো যেমন- বিভিন্ন লিকুইড খাবার, ফলের শরবত, জুস, ফল, শাকসবজি ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে বলা হয়ে থাকে। এইসব শরীরকে হাইড্রেট রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন অন্যান্য খাদ্য উপাদানের অভাবও পূরণ করে থাকে। শীতকালে বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত রোগ দেখা দেয় এবং এইসব রোগ থেকে মুক্ত রাখতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।