ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওমিক্রন ফুসফুসে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৫৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পর এবার শুরু হয়েছে ওমিক্রনের আতঙ্ক। প্রথম দিকে ওমিক্রনকে সাধারনভাবে নিলেও কিছুদিনের মধ্যেই বিশেষজ্ঞরা বুঝতে পারেন এই ভাইরাসকে আটকে রাখা খুবই কঠিন। কারণ এই ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মতোই বাংলাদেশেও নতুন করে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সবাইকে মাস্ক পরিধান করা ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার।

কেন ওমিক্রন চিন্তার?

এ প্রসঙ্গে ভারতের আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, এই ভাইরাসকে নিয়ে প্রচুর গবেষণা চলছে। এক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে, এই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে ঘটেছে মিউটেশন।

স্পাইক প্রোটিনে বদলের ফলে ওমিক্রন হয়ে উঠেছে অত্যন্ত সংক্রামক। একজন থেকে অন্যজনে এই ভাইরাস খুব দ্রুত পৌঁছে যেতে পারে। তাই নিতে বলা হচ্ছে সাবধানতা।

ওমিক্রনে ফুসফুসে কি প্রভাব পড়ে?

এ বিষয়ে ডা. পাল জানান, এই ভাইরাস খুব সংক্রামক হলেও রোগ তেমন গুরতর নয়। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার কেসেও এই বিষয় সামনে উঠে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থাকে করোনার মৃদু উপসর্গ।

তবে করোনা হরো রেসপিরেটরি ভাইরাস। অর্থাৎ এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে শ্বসনতন্ত্রে। ওমিক্রনও কোভিড ১৯-এরই রূপ। ফলে এর থেকেও ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে। তখন শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে, কমতে পারে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা।

শুধু তাই নয়, হতে পারে কোভিড নিউমোনিয়াও। এ বিষয়ে ডা. পাল বলেন, নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের মারাত্মক সংক্রমণ। তাও ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া দুটি ফুসফুসের মধ্যে একটিকে আক্রান্ত করে। তবে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হওয়া খুবই খারাপ।

এক্ষেত্রে দুটি ফুসফুসেই সমস্যা ছড়িয়ে যায়। রোগীর অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। কোভিড নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রেও ঘটেছে এই সমস্যাই। তাই এত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আর ওমিক্রন কোভিড ভাইরাস হওয়ায় এই ঘটনা ওমিক্রন আক্রান্তের সঙ্গেও ঘটতে পারে। তাই সবাধান থাকুন।

তাই সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। করোনাবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরুন, হাত ধুয়ে নিন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। ভিড়ে যাবেন না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ওমিক্রন ফুসফুসে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে

আপডেট টাইম : ১১:২৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পর এবার শুরু হয়েছে ওমিক্রনের আতঙ্ক। প্রথম দিকে ওমিক্রনকে সাধারনভাবে নিলেও কিছুদিনের মধ্যেই বিশেষজ্ঞরা বুঝতে পারেন এই ভাইরাসকে আটকে রাখা খুবই কঠিন। কারণ এই ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মতোই বাংলাদেশেও নতুন করে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সবাইকে মাস্ক পরিধান করা ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার।

কেন ওমিক্রন চিন্তার?

এ প্রসঙ্গে ভারতের আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, এই ভাইরাসকে নিয়ে প্রচুর গবেষণা চলছে। এক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে, এই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে ঘটেছে মিউটেশন।

স্পাইক প্রোটিনে বদলের ফলে ওমিক্রন হয়ে উঠেছে অত্যন্ত সংক্রামক। একজন থেকে অন্যজনে এই ভাইরাস খুব দ্রুত পৌঁছে যেতে পারে। তাই নিতে বলা হচ্ছে সাবধানতা।

ওমিক্রনে ফুসফুসে কি প্রভাব পড়ে?

এ বিষয়ে ডা. পাল জানান, এই ভাইরাস খুব সংক্রামক হলেও রোগ তেমন গুরতর নয়। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার কেসেও এই বিষয় সামনে উঠে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থাকে করোনার মৃদু উপসর্গ।

তবে করোনা হরো রেসপিরেটরি ভাইরাস। অর্থাৎ এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে শ্বসনতন্ত্রে। ওমিক্রনও কোভিড ১৯-এরই রূপ। ফলে এর থেকেও ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে। তখন শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে, কমতে পারে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা।

শুধু তাই নয়, হতে পারে কোভিড নিউমোনিয়াও। এ বিষয়ে ডা. পাল বলেন, নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের মারাত্মক সংক্রমণ। তাও ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া দুটি ফুসফুসের মধ্যে একটিকে আক্রান্ত করে। তবে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হওয়া খুবই খারাপ।

এক্ষেত্রে দুটি ফুসফুসেই সমস্যা ছড়িয়ে যায়। রোগীর অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। কোভিড নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রেও ঘটেছে এই সমস্যাই। তাই এত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আর ওমিক্রন কোভিড ভাইরাস হওয়ায় এই ঘটনা ওমিক্রন আক্রান্তের সঙ্গেও ঘটতে পারে। তাই সবাধান থাকুন।

তাই সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। করোনাবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরুন, হাত ধুয়ে নিন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। ভিড়ে যাবেন না।