হাওর বার্তা ডেস্কঃ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে দুর্ভোগ চলছে, তা লাঘবের পাশাপাশি বিমান টিকিটের যে বাড়তি মূল্য নেওয়া হচ্ছে- তা কমাতে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি আরও চরম আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিভাগ। প্রায় প্রতিদিনই বেশিরভাগ ফ্লাইট বিলম্বে ছাড়ছে। ফিরতি ফ্লাইটের যাত্রীরা লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেল্টের সামনে অপেক্ষায় থাকছেন। এরপরও পাচ্ছেন না লাগেজ। এক বেল্টের লাগেজ চলে যাচ্ছে অন্য বেল্টে।
এক এয়ারলাইন্সের লাগেজ চলে যাচ্ছে অন্য এয়ারলাইন্সের বেল্টে। পর্যাপ্ত ট্রলি থাকলেও প্রয়োজনের সময় পাওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীদের বোডিং কার্ড ইস্যু নিয়ে চলছে অব্যবস্থাপনা। সব মিলে প্রতিদিনই যাত্রীসেবার মানের অবনতি হচ্ছে।বেশকিছু দিন ধরেই বিমানের টিকিটের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল যাত্রীদের। এ নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়াও এ নিয়ে সমালোচনা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এরমধ্যেই বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজি কল্যাণ পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে একই অভিযোগ তুলেছে। তারা বলেছে, ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে যাওয়া-আসার টিকিটের দাম মূলত ৬৭ হাজার টাকা। এখন ৮৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকায়ও বিমানের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। বিমানের অসাধু কর্মকর্তা ও কিছু ট্রাভেল এজেন্সির মালিকের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট প্রতি টিকিটে ২০ হাজার টাকার বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে। মাসে কোটি কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করে যাত্রীদের পেটে লাথি মারছে ওই ‘সিন্ডিকেট’।
এসব বিষয়ে ভিপি নুর বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্য যদি বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা না হয়, বিমানের টিকিটের মূল্য যদি পুনর্বিবেচনা করা না হয়, আমরা করোনার সময় যেমন ৩৮৩ জনের মুক্তির দাবিতে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেছি, আজকে যে জনসংখ্যা আছি- তার চেয়ে কয়েক গুণ নিয়ে আমরা আবার প্রয়োজনে ওই মন্ত্রণালয় ঘেরাও করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা জনগণের জন্য কাজ করবে না, তাদের দায়িত্ব পালন করবে না, তাদের ওই চেয়ারে থাকার অধিকার নেই। প্রয়োজনে টেনেহিঁচড়ে তাদের চেয়ার থেকে নামিয়ে দেব।’