ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেসব খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০১৬
  • ২৮০ বার

ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ। কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু এই চিকিৎসায় প্রচন্ড পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। তাই ক্যান্সারের মতো মারাত্মক ব্যাধি থেকে নিজেকে ঝঁকি মুক্ত রাখাটায় বুদ্ধিমানের কাজ।
নিয়মিত কিছু খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। নিচে কিছু খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো যেসব খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আপেল : আপেলের খোশায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। গবেষণাগারে ক্যান্সার কোষের উপর অ্যান্টিপ্রোলিফেরাটিভ এর কার্যকরী প্রভাব দেখা গেছে। তারা ইস্ট্রোজেন রিসেপ্টর নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে। যা ইস্ট্রোজেন রিসেপ্টর পজিটিভ ব্রেস্ট ক্যান্সার এর চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।
রসুন : রসুনের কার্যকারিতাও আদার মত। রসুন গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। যারা বেশি রসুন খান তাদের বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার কম হয়।
আঙ্গুর : আঙ্গুর ও আঙ্গুরের জুস রেসভেরাট্রল নামক ফাইটোকেমিক্যাল এর চমৎকার উৎস যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে ধীর গতির করে এবং ব্রেস্ট, পাকস্থলী, লিভার ও লিম্ফনোডের টিউমারের গঠন বন্ধ করে। তাই আঙ্গুর খান তবে কীটনাশক মুক্ত কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।
সবুজ শাকসবজি : সবুজ শাকসবজি ও ক্রুসিফেরি পরিবারের সবজি যেমন- ব্রোকলি, ফুলকপি ইত্যাদিতে আয়রন থাকে যার ফলে অ্যানেমিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। এরাও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এদের মধ্যে সালফোরাফেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোলন ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এই ধরণের সবজিগুলো খুব বেশিক্ষণ যাবত রান্না করা ঠিক নয়।
গ্রিনটি ও ব্ল্যাক টি : গ্রিনটি ও ব্ল্যাক টি উভয়ের মধ্যে ক্যাম্পফেরল নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
টমাটো : টমাটোতে লাইকোপেন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকরী।
আদা : আদা অ্যাপোস্টোসিস নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলে বা আত্মহত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করে। এই প্রক্রিয়াটিতে সুস্থ কোষের উপর কোন প্রভাব পরেনা।
এছাড়াও শনবীজের গুঁড়া, ডালিম, হলুদ, মিষ্টিআলু, জাম, স্ট্রবেরি, চিনাবাদাম, পিনাটবাটার ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যেসব খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে

আপডেট টাইম : ০৯:৩২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০১৬

ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ। কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু এই চিকিৎসায় প্রচন্ড পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। তাই ক্যান্সারের মতো মারাত্মক ব্যাধি থেকে নিজেকে ঝঁকি মুক্ত রাখাটায় বুদ্ধিমানের কাজ।
নিয়মিত কিছু খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। নিচে কিছু খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো যেসব খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আপেল : আপেলের খোশায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। গবেষণাগারে ক্যান্সার কোষের উপর অ্যান্টিপ্রোলিফেরাটিভ এর কার্যকরী প্রভাব দেখা গেছে। তারা ইস্ট্রোজেন রিসেপ্টর নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে। যা ইস্ট্রোজেন রিসেপ্টর পজিটিভ ব্রেস্ট ক্যান্সার এর চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।
রসুন : রসুনের কার্যকারিতাও আদার মত। রসুন গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। যারা বেশি রসুন খান তাদের বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার কম হয়।
আঙ্গুর : আঙ্গুর ও আঙ্গুরের জুস রেসভেরাট্রল নামক ফাইটোকেমিক্যাল এর চমৎকার উৎস যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে ধীর গতির করে এবং ব্রেস্ট, পাকস্থলী, লিভার ও লিম্ফনোডের টিউমারের গঠন বন্ধ করে। তাই আঙ্গুর খান তবে কীটনাশক মুক্ত কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।
সবুজ শাকসবজি : সবুজ শাকসবজি ও ক্রুসিফেরি পরিবারের সবজি যেমন- ব্রোকলি, ফুলকপি ইত্যাদিতে আয়রন থাকে যার ফলে অ্যানেমিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। এরাও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এদের মধ্যে সালফোরাফেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোলন ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এই ধরণের সবজিগুলো খুব বেশিক্ষণ যাবত রান্না করা ঠিক নয়।
গ্রিনটি ও ব্ল্যাক টি : গ্রিনটি ও ব্ল্যাক টি উভয়ের মধ্যে ক্যাম্পফেরল নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
টমাটো : টমাটোতে লাইকোপেন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকরী।
আদা : আদা অ্যাপোস্টোসিস নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলে বা আত্মহত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করে। এই প্রক্রিয়াটিতে সুস্থ কোষের উপর কোন প্রভাব পরেনা।
এছাড়াও শনবীজের গুঁড়া, ডালিম, হলুদ, মিষ্টিআলু, জাম, স্ট্রবেরি, চিনাবাদাম, পিনাটবাটার ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।