ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীকে ‘মধ্যম আঙুল’ দেখানোয় যুবকের ছয় মাসের কারাদণ্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাস্তায় চলতে গেলে নারীদের প্রায়ই বিড়াম্বনার শিকার হতে হয়। কখনো অযাচিত স্পর্শ আবার কখনো খারাপ মন্তব্য– এসব শুনেই পথ চলেন নারীরা। এ নিয়ে আইন থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার কোনো প্রয়োগ নেই।

তবে এবার রাস্তায় এক নারীর সঙ্গে তর্কে জড়ানোর পর তাকে ‘মধ্যম আঙুল’ দেখানোয় এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

খবরে বলা হয়েছে, ভারতের মুম্বাইতে অঙ্কিত পাতিল (৩৩) নামে ওই যুবককে রাস্তায় এক নারীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করে মধ্যম আঙুল দেখানোয় এবং গালি দেওয়ার অপরাধে গিরগাঁও ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চলতি বছরের ডিসেম্বরে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার দিন ওই নারী তার ছেলের সঙ্গে গাড়িতে অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় এক লাল গাড়ি তাদের গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে সড়ক বিভাজনের দিকে নিয়ে যায়। এরপর গাড়িটি তাদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পর ওই নারী আবার সেই লাল  গাড়িটিকে দেখতে পান। সে সময় গাড়িটি তাদের ওভারটেক করার চেষ্টা করে। এর কিছু দূর যাওয়ার পর দুই গাড়িই পাশাপাশি একটি সিগন্যালে আটকে যায়। এ সময় লাল গাড়ির চালক অঙ্কিত জানালার কাঁচ নামিয়ে ওই নারীকে মধ্যম আঙুল দেখান।

এ সময় ওই নারী অঙ্কিতকে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে ওই অঙ্কিত তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। সিগন্যাল ছাড়ার পর অঙ্কিত চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে ওই নারীর ছেলে অঙ্কিতের গাড়ির সামনে তাদের গাড়িটি দাঁড় করিয়ে অঙ্কিতকে আটকান। এরপর সেখানকার দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় তাকে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আদালতে বিচার চলাকালে অঙ্কিত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে থাকা ট্রাফিক পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীকে বয়ানে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। এর পর অঙ্কিত ভালো হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাজা মাফের জন্য আবেদন জানান।

কিন্তু একজন নারীর সঙ্গে অবমাননাকর আচরণের কোনো মাফ নেই উল্লেখ করে আদালত তার সাজা বহাল রাখে।

এ ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট নাদিম এ পাতিল বলেন, সমাজে প্রতিটি নারীর মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার অধিকার রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নারীকে ‘মধ্যম আঙুল’ দেখানোয় যুবকের ছয় মাসের কারাদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৯:৫৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাস্তায় চলতে গেলে নারীদের প্রায়ই বিড়াম্বনার শিকার হতে হয়। কখনো অযাচিত স্পর্শ আবার কখনো খারাপ মন্তব্য– এসব শুনেই পথ চলেন নারীরা। এ নিয়ে আইন থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার কোনো প্রয়োগ নেই।

তবে এবার রাস্তায় এক নারীর সঙ্গে তর্কে জড়ানোর পর তাকে ‘মধ্যম আঙুল’ দেখানোয় এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

খবরে বলা হয়েছে, ভারতের মুম্বাইতে অঙ্কিত পাতিল (৩৩) নামে ওই যুবককে রাস্তায় এক নারীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করে মধ্যম আঙুল দেখানোয় এবং গালি দেওয়ার অপরাধে গিরগাঁও ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চলতি বছরের ডিসেম্বরে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার দিন ওই নারী তার ছেলের সঙ্গে গাড়িতে অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় এক লাল গাড়ি তাদের গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে সড়ক বিভাজনের দিকে নিয়ে যায়। এরপর গাড়িটি তাদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পর ওই নারী আবার সেই লাল  গাড়িটিকে দেখতে পান। সে সময় গাড়িটি তাদের ওভারটেক করার চেষ্টা করে। এর কিছু দূর যাওয়ার পর দুই গাড়িই পাশাপাশি একটি সিগন্যালে আটকে যায়। এ সময় লাল গাড়ির চালক অঙ্কিত জানালার কাঁচ নামিয়ে ওই নারীকে মধ্যম আঙুল দেখান।

এ সময় ওই নারী অঙ্কিতকে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে ওই অঙ্কিত তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। সিগন্যাল ছাড়ার পর অঙ্কিত চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে ওই নারীর ছেলে অঙ্কিতের গাড়ির সামনে তাদের গাড়িটি দাঁড় করিয়ে অঙ্কিতকে আটকান। এরপর সেখানকার দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় তাকে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আদালতে বিচার চলাকালে অঙ্কিত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে থাকা ট্রাফিক পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীকে বয়ানে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। এর পর অঙ্কিত ভালো হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাজা মাফের জন্য আবেদন জানান।

কিন্তু একজন নারীর সঙ্গে অবমাননাকর আচরণের কোনো মাফ নেই উল্লেখ করে আদালত তার সাজা বহাল রাখে।

এ ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট নাদিম এ পাতিল বলেন, সমাজে প্রতিটি নারীর মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার অধিকার রয়েছে।