ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফাইনালের মধ্যেও খণ্ড খণ্ড লড়াই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০১৬
  • ২৮৭ বার

১৬ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এসে দাঁড়িয়েছে দুই দলে। বিশ্ব টি-টোয়েন্টির ফাইনালের মঞ্চে কে ট্রফি হাতে তুলবেন? ইয়ন মরগ্যান নাকি ড্যারেন স্যামি? কলকাতার ইডেন গার্ডেনে মাঠের ভেতরেও খণ্ড খণ্ড লড়াই চলবে ক্রিকেটারদের ভেতরেও।

আলেক্স হেলস বনাম স্যামুয়েল বদ্রি

একমাত্র ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি রয়েছে আলেক্স হেলসের। যদিও এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তেমন কোন সুবিধা করতে পারেননি তিনি। হেলস এবং জ্যাসন রয় টুর্নামেন্টে গড়ে ৪২ রান তুলেছেন প্রথম দশ ওভারে। এবারের বিশ্বকাপে হেলসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২৮, যা করেছিলেন গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। সেই ম্যাচেই সুলেমান বেনের বলে আউট হয়েছিলেন হেলস। তাছাড়া বিশ্বকাপে দু’বার আউট হয়েছেন স্পিনারদের বলে। অন্যদিকে স্যামুয়েল বদ্রি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবসময় পাওয়ার প্লেতে বোলিং করে থাকেন। টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের এক নাম্বার বোলারের বল খেলতে ভালোই বেগ পেতে হবে আলেক্স হেলসকে।

ডেভিড উইলি বনাম ক্রিস গেইল

ইংলিশদের পক্ষে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাত উইকেট পেয়েছেন ডেভিড উইলি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের প্রথম ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান জনসন চার্লসকে আউট করেছিলেন উইলি। অন্যদিকে সেই ম্যাচে এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্রিস গেইল। ৪৭ বলে দুর্দর্ষ সেঞ্চুরি করার পর যদিও আর গেইলকে আর তেমন ফর্মে দেখা যায়নি। তবুও এ দুইজনের লড়াইটাও হবে দেখার মত।

সুলেমান বেন বনাম জো রুট

বদ্রির মতই বোলিংয়ে ওভার প্রতি ছয়ের কম রান দিয়েছেন সুলেমান বেন। যদিও পাঁচ ম্যাচে মাত্র দুইটি উইকেট পেয়েছেন তিনি; কিন্তু ড্যারেন স্যামির তার উপর আস্থার শেষ নেই। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে পিচ অনেকটা স্পিন নির্ভর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যে কারণে সুলেমান বেনের স্পিন খেলতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে ইংলিশ ক্রিকেটারদের। তবে জো রুট ক্রিজে থাকাকালীন সে সমস্যাটাকে তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দিতে পারে ইংলিশরা। স্পিনে তুখোড় খেলা এই ব্যাটসম্যানই পারে ইংল্যান্ডকে ভালো কিছুর সম্ভাবনা দেখাতে।

লিয়াম প্লাঙ্কেট বনাম আন্দ্রে রাসেল

টপলির অফ ফর্মেই মূলত ইংলিশ দলে জায়গা পান লিয়াম প্লাঙ্কেট। যদিও প্লাঙ্কেটের বোলিং এখনো তেমন ভয় দেখাতে পারেনি কোন ব্যাটসম্যানকে; কিন্তু হার্ড হিটারদের জন্য অনেক ভয়ঙ্কর তিনি। সে ক্ষেত্রে তার লড়াইটা হতে পারে আন্দ্রে রাসেলের সাথেই। এই বিগ হিটার সেমিফাইনালে শেষ দিকে নেমে ২০ বলে ৪০ রান করে একাই ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে তোলেন দলকে।

ড্যারেন স্যামি বনাম ইয়ন মরগ্যান
তারা দু’জনই টুর্নামেন্টে বলার মত কিছুই করতে পারেননি। না বল হাতে, না ব্যাট হাতে; কিন্তু অধিনায়কত্বের কারণে তাদের দুজনের ভেতর মনস্তাত্ত্বিক লড়াই হবে নিশ্চিত। আফগানদের বিপক্ষে স্যামি বল হাতে দুই ওভার করে ১ উইকেট পেলেও মাত্র দু’বার ব্যাট হাতে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন স্যামি। মরগ্যানও অনেকটা স্যামির মত। টুর্নামেন্টে দুইটি গোল্ডেন ডাকের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলতে পেরেছেন। দলের বোলারদের কখন বোলিংয়ে আনতে হবে, কিভাবে তাদের ব্যবহার করতে হবে তা খুব ভালোভাবেই করে দেখিয়েছেন মরগ্যান। ২০১০ সালের ইংল্যান্ডের একমাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকজয়ী সদস্য ছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ফাইনালের মধ্যেও খণ্ড খণ্ড লড়াই

আপডেট টাইম : ১১:১৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০১৬

১৬ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এসে দাঁড়িয়েছে দুই দলে। বিশ্ব টি-টোয়েন্টির ফাইনালের মঞ্চে কে ট্রফি হাতে তুলবেন? ইয়ন মরগ্যান নাকি ড্যারেন স্যামি? কলকাতার ইডেন গার্ডেনে মাঠের ভেতরেও খণ্ড খণ্ড লড়াই চলবে ক্রিকেটারদের ভেতরেও।

আলেক্স হেলস বনাম স্যামুয়েল বদ্রি

একমাত্র ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি রয়েছে আলেক্স হেলসের। যদিও এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তেমন কোন সুবিধা করতে পারেননি তিনি। হেলস এবং জ্যাসন রয় টুর্নামেন্টে গড়ে ৪২ রান তুলেছেন প্রথম দশ ওভারে। এবারের বিশ্বকাপে হেলসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২৮, যা করেছিলেন গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। সেই ম্যাচেই সুলেমান বেনের বলে আউট হয়েছিলেন হেলস। তাছাড়া বিশ্বকাপে দু’বার আউট হয়েছেন স্পিনারদের বলে। অন্যদিকে স্যামুয়েল বদ্রি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবসময় পাওয়ার প্লেতে বোলিং করে থাকেন। টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের এক নাম্বার বোলারের বল খেলতে ভালোই বেগ পেতে হবে আলেক্স হেলসকে।

ডেভিড উইলি বনাম ক্রিস গেইল

ইংলিশদের পক্ষে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাত উইকেট পেয়েছেন ডেভিড উইলি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের প্রথম ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান জনসন চার্লসকে আউট করেছিলেন উইলি। অন্যদিকে সেই ম্যাচে এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্রিস গেইল। ৪৭ বলে দুর্দর্ষ সেঞ্চুরি করার পর যদিও আর গেইলকে আর তেমন ফর্মে দেখা যায়নি। তবুও এ দুইজনের লড়াইটাও হবে দেখার মত।

সুলেমান বেন বনাম জো রুট

বদ্রির মতই বোলিংয়ে ওভার প্রতি ছয়ের কম রান দিয়েছেন সুলেমান বেন। যদিও পাঁচ ম্যাচে মাত্র দুইটি উইকেট পেয়েছেন তিনি; কিন্তু ড্যারেন স্যামির তার উপর আস্থার শেষ নেই। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে পিচ অনেকটা স্পিন নির্ভর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যে কারণে সুলেমান বেনের স্পিন খেলতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে ইংলিশ ক্রিকেটারদের। তবে জো রুট ক্রিজে থাকাকালীন সে সমস্যাটাকে তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দিতে পারে ইংলিশরা। স্পিনে তুখোড় খেলা এই ব্যাটসম্যানই পারে ইংল্যান্ডকে ভালো কিছুর সম্ভাবনা দেখাতে।

লিয়াম প্লাঙ্কেট বনাম আন্দ্রে রাসেল

টপলির অফ ফর্মেই মূলত ইংলিশ দলে জায়গা পান লিয়াম প্লাঙ্কেট। যদিও প্লাঙ্কেটের বোলিং এখনো তেমন ভয় দেখাতে পারেনি কোন ব্যাটসম্যানকে; কিন্তু হার্ড হিটারদের জন্য অনেক ভয়ঙ্কর তিনি। সে ক্ষেত্রে তার লড়াইটা হতে পারে আন্দ্রে রাসেলের সাথেই। এই বিগ হিটার সেমিফাইনালে শেষ দিকে নেমে ২০ বলে ৪০ রান করে একাই ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে তোলেন দলকে।

ড্যারেন স্যামি বনাম ইয়ন মরগ্যান
তারা দু’জনই টুর্নামেন্টে বলার মত কিছুই করতে পারেননি। না বল হাতে, না ব্যাট হাতে; কিন্তু অধিনায়কত্বের কারণে তাদের দুজনের ভেতর মনস্তাত্ত্বিক লড়াই হবে নিশ্চিত। আফগানদের বিপক্ষে স্যামি বল হাতে দুই ওভার করে ১ উইকেট পেলেও মাত্র দু’বার ব্যাট হাতে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন স্যামি। মরগ্যানও অনেকটা স্যামির মত। টুর্নামেন্টে দুইটি গোল্ডেন ডাকের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলতে পেরেছেন। দলের বোলারদের কখন বোলিংয়ে আনতে হবে, কিভাবে তাদের ব্যবহার করতে হবে তা খুব ভালোভাবেই করে দেখিয়েছেন মরগ্যান। ২০১০ সালের ইংল্যান্ডের একমাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকজয়ী সদস্য ছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক।