ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রামের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়নি: ব্যানবেইস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৮০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনার কারণে দেড় বছর বন্ধ ছিলো দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছিলো সরকার। এতে শহরের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ অনলাইনে শিক্ষাদানের সুযোগ পেলেও ব্যতিক্রম ছিলো গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। গ্রামের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়নি। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) এক জরিপে এসব তথ‌্য উঠে এসেছে।

ব্যানবেইস এর জরিপ অনুযায়ী, করোনাকালীন সময় গ্রামের ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছিলো অনলাইন ক্লাসের বাইরে। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত শিক্ষার্থীদের কার্যক্রমের আওতার বাইরে ছিলো গ্রামের ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থায় করোনার প্রভাব বিষয়ে জানতে এই বছরের প্রথমার্ধে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ওপর একটি জরিপ চালায় বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো। এতে ১৯টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের ২৪০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ হাজার ৫১৬ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশ নেন। উপজেলাগুলোর মধ্যে নয়টি গ্রাম, তিনটি শহর, দুটি পাহাড়, দুটি চর ও একটি চা বাগান অঞ্চলের।

প্রতিষ্ঠানভিত্তিক জরিপ চালানো হয় গ্রামাঞ্চলের ১৪৪টি, উপজেলা পর্যায়ের ৫০টি ও সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এছাড়া, গ্রামাঞ্চলের ১ হাজার ৯৫৮ জন, উপজেলা পর্যায়ের ৬৪৮ ও সিটি করপোরেশনের ৬৫২ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চালানো হয় ব্যক্তি পর্যায়ের জরিপ।

ব্যানবেইসের তথ্য মতে, জরিপের আওতাধীন ২৪০টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৩৬টিতে অনলাইন পাঠদান চালু ছিলো। অনলাইনে পাঠদান চালু ছিলো মাত্র ১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে। আর অনলাইন ক্লাসগুলোয় শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের গড় হারও ছিলো ১৫ শতাংশ। বাকি ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছিলো অনলাইনভিত্তিক পাঠ কার্যক্রমের বাইরে। এর মধ্যে অনলাইন পাঠদানে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে ছিলো গ্রামের শিক্ষার্থীরা।

জরিপের তথ্য থেকে জানা যায়, গ্রামাঞ্চলের মাত্র ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, উপজেলা পর্যায়ের ১২ ও সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গ্রামের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়নি: ব্যানবেইস

আপডেট টাইম : ০২:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনার কারণে দেড় বছর বন্ধ ছিলো দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছিলো সরকার। এতে শহরের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ অনলাইনে শিক্ষাদানের সুযোগ পেলেও ব্যতিক্রম ছিলো গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। গ্রামের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়নি। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) এক জরিপে এসব তথ‌্য উঠে এসেছে।

ব্যানবেইস এর জরিপ অনুযায়ী, করোনাকালীন সময় গ্রামের ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছিলো অনলাইন ক্লাসের বাইরে। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত শিক্ষার্থীদের কার্যক্রমের আওতার বাইরে ছিলো গ্রামের ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থায় করোনার প্রভাব বিষয়ে জানতে এই বছরের প্রথমার্ধে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ওপর একটি জরিপ চালায় বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো। এতে ১৯টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের ২৪০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ হাজার ৫১৬ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশ নেন। উপজেলাগুলোর মধ্যে নয়টি গ্রাম, তিনটি শহর, দুটি পাহাড়, দুটি চর ও একটি চা বাগান অঞ্চলের।

প্রতিষ্ঠানভিত্তিক জরিপ চালানো হয় গ্রামাঞ্চলের ১৪৪টি, উপজেলা পর্যায়ের ৫০টি ও সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এছাড়া, গ্রামাঞ্চলের ১ হাজার ৯৫৮ জন, উপজেলা পর্যায়ের ৬৪৮ ও সিটি করপোরেশনের ৬৫২ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চালানো হয় ব্যক্তি পর্যায়ের জরিপ।

ব্যানবেইসের তথ্য মতে, জরিপের আওতাধীন ২৪০টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৩৬টিতে অনলাইন পাঠদান চালু ছিলো। অনলাইনে পাঠদান চালু ছিলো মাত্র ১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে। আর অনলাইন ক্লাসগুলোয় শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের গড় হারও ছিলো ১৫ শতাংশ। বাকি ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছিলো অনলাইনভিত্তিক পাঠ কার্যক্রমের বাইরে। এর মধ্যে অনলাইন পাঠদানে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে ছিলো গ্রামের শিক্ষার্থীরা।

জরিপের তথ্য থেকে জানা যায়, গ্রামাঞ্চলের মাত্র ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, উপজেলা পর্যায়ের ১২ ও সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিয়েছে।