ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বই উৎসব পহেলা জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৬৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রায় এক যুগ ধরে বছরের প্রথম দিন পহেলা জানুয়ারির উৎসব করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেয় সরকার। মহামারির মধ্যে গতবছরও যার ব্যত্যয় হয়নি। তবে এবার সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শঙ্কার কালো মেঘ ছাপাখানাগুলোর ওপর।

বাংলাদেশ মুদ্রণশিল্প সমিতির নেতারা জানান, দেরিতে কার্যাদেশ পাওয়ায় বছরের শুরুতে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ বই পৌঁছানো যেতে পারে। বই ছাপাতে এবার ছাপখানাগুলোর সঙ্গে মাসখানেক দেরিতে চুক্তি করে এনসিটিবি। তারপরও আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।

তথ্যমতে, প্রায় ৪০০ ছাপাখানায় নতুন বছরের জন্য ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ১৬ হাজার ২৭৭টি বই ছাপার কাজ চলছে। সাধারণত অক্টোবরের মধ্যে ছাপাখানাগুলোর সঙ্গে চুক্তি হলেও এবার (গ্রাফিক্স) তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপাতে চুক্তি হয় ১৮ অক্টোবর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চুক্তি হয় ২৪ অক্টোবর। আর মাধ্যমিকের ২৪ কোটি বই ছাপার চুক্তি স্বাক্ষর হয় ৮ নভেম্বর। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে কাজ শুরু হওয়ায় ছাপাখানাগুলোতে এখন দম ফেলবার সময় নেই।

স্কুলের বই ছাপতে সাধারণত তিন মাস সময় পায় ছাপখানাগুলো। বাংলাদেশ মুদ্রণশিল্প সমিতির নেতারা বলছেন, এবার মাসখানেক কম সময় পাওয়ায় জানুয়ারির মধ্যে ৭০ ভাগের বেশি বই ছাপা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ মুদ্রণশিল্প সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি জহুরুল ইসলাম জানান, আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলেও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭০ ভাগের বেশি ছাপা সম্ভব হবে বলে মনে করি না। কারণ, আমরা চেষ্টা করলেও তারও একটা সীমাবদ্ধতা থাকে।

এদিকে মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ে মুদ্রণ প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরির কথা স্বীকার করলেও বই বিতরণে বিলম্ব মানতে নারাজ এনসিটিবি চেয়োরম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা।

তিনি বলেন, করোনার কারণে ব্যাংক ও সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। যে কারণে টেন্ডারগুলো বিলম্ব করতে হয়েছে। সে কারণেই কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে আশা করছি ৩১ ডিসেম্বরের আগেই সম্পূর্ণ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করে উপজেলায় পাঠাতে পারব।

তবে শিক্ষাবিদরা এসব যুক্তিতে সন্তুষ্ট নন। তারা বলছেন, ডিজিটাল মাধ্যমসহ বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সব খোলা থাকার পরও বর্তমান অনিশ্চিয়তা দক্ষ জনবলের ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়।

শিক্ষাবর্ষের শুরুতে বই হাতে না পেলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা নতুন অনিশ্চয়তায় পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বই উৎসব পহেলা জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

আপডেট টাইম : ১০:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রায় এক যুগ ধরে বছরের প্রথম দিন পহেলা জানুয়ারির উৎসব করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেয় সরকার। মহামারির মধ্যে গতবছরও যার ব্যত্যয় হয়নি। তবে এবার সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শঙ্কার কালো মেঘ ছাপাখানাগুলোর ওপর।

বাংলাদেশ মুদ্রণশিল্প সমিতির নেতারা জানান, দেরিতে কার্যাদেশ পাওয়ায় বছরের শুরুতে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ বই পৌঁছানো যেতে পারে। বই ছাপাতে এবার ছাপখানাগুলোর সঙ্গে মাসখানেক দেরিতে চুক্তি করে এনসিটিবি। তারপরও আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।

তথ্যমতে, প্রায় ৪০০ ছাপাখানায় নতুন বছরের জন্য ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ১৬ হাজার ২৭৭টি বই ছাপার কাজ চলছে। সাধারণত অক্টোবরের মধ্যে ছাপাখানাগুলোর সঙ্গে চুক্তি হলেও এবার (গ্রাফিক্স) তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপাতে চুক্তি হয় ১৮ অক্টোবর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চুক্তি হয় ২৪ অক্টোবর। আর মাধ্যমিকের ২৪ কোটি বই ছাপার চুক্তি স্বাক্ষর হয় ৮ নভেম্বর। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে কাজ শুরু হওয়ায় ছাপাখানাগুলোতে এখন দম ফেলবার সময় নেই।

স্কুলের বই ছাপতে সাধারণত তিন মাস সময় পায় ছাপখানাগুলো। বাংলাদেশ মুদ্রণশিল্প সমিতির নেতারা বলছেন, এবার মাসখানেক কম সময় পাওয়ায় জানুয়ারির মধ্যে ৭০ ভাগের বেশি বই ছাপা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ মুদ্রণশিল্প সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি জহুরুল ইসলাম জানান, আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলেও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭০ ভাগের বেশি ছাপা সম্ভব হবে বলে মনে করি না। কারণ, আমরা চেষ্টা করলেও তারও একটা সীমাবদ্ধতা থাকে।

এদিকে মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ে মুদ্রণ প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরির কথা স্বীকার করলেও বই বিতরণে বিলম্ব মানতে নারাজ এনসিটিবি চেয়োরম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা।

তিনি বলেন, করোনার কারণে ব্যাংক ও সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। যে কারণে টেন্ডারগুলো বিলম্ব করতে হয়েছে। সে কারণেই কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে আশা করছি ৩১ ডিসেম্বরের আগেই সম্পূর্ণ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করে উপজেলায় পাঠাতে পারব।

তবে শিক্ষাবিদরা এসব যুক্তিতে সন্তুষ্ট নন। তারা বলছেন, ডিজিটাল মাধ্যমসহ বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সব খোলা থাকার পরও বর্তমান অনিশ্চিয়তা দক্ষ জনবলের ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়।

শিক্ষাবর্ষের শুরুতে বই হাতে না পেলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা নতুন অনিশ্চয়তায় পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর।