দেশের বাজারে কীটনাশকমুক্ত হলুদ, করল্লা ও বরই বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদক কৃষক, পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজারের ব্যবসায়ী কেউ এ খাদ্যপণ্যগুলোতে কীটনাশক মেশাচ্ছেন না। ফলে এখন বাজারে বিষাক্ত কীটনাশকমুক্ত খাদ্যপণ্য পাচ্ছেন ভোক্তারা।’
পাঠকদের মনে ‘এও কি সম্ভব’ প্রশ্ন উঠতে পারে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেখানে হরহামেশা নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্যপণ্যে সয়লাবের খবর পড়ে অভ্যস্ত সেখানে এ খবরে কৌতুহল জেগে উঠা স্বাভাবিক। কিন্তু তথ্যগুলো শতভাগ সঠিক
সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরিতে এ তিনটি খাদ্যপণ্যের নমুনা পরীক্ষায় কোনটিতেই কীটনাশকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা বাজারের প্রতিটি থেকে ৯টি করে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালায়।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ‘মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন অব হর্টিকালচার প্রোডাক্টস অ্যান্ড আদার ফুড কমোডিটিস ফর কেমিক্যাল কন্টামিনেশন অ্যাট এনএফএসএল : অ্যান অ্যাপ্রাইজাল অব ফুড সেফটি সার্ভে ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ক জরিপের অংশ হিসেবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ে পৃথকভাবে জরীপ চালানো হয়।
জরিপ কার্যক্রমের প্রধান ইনভেস্টিগেটরি ছিলেন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরি (পিএইচএল) ও এনএফএসএল প্রধান ডা. শাহনীলা ফেরদৌসি। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, “ভেজালমুক্ত খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনসচেনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। শুধু তাই নয়, নিয়মিত উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা বাজার থেকে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করে জরীপ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যেই জরীপ পরিচালনার সুফল আসতে শুরু করেছে।”
কীটনাশকমুক্ত হলুদ, করল্লা ও বরই এর প্রমাণ বলেও মনে করেন তিনি।