ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন গঠন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
  • ১৫৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে ‘স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আইন মন্ত্রণালায়ের দুই সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।
সুপ্রিমকোর্টের শতাধিক আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন।
স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ গঠন করতে বিবাদীদের গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়।

আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শককে সেখানে বিবাদী করা হয়েছে। ১৪৫ পৃষ্ঠার রিট আবেদনের সঙ্গে এক হাজার ৫২২ পৃষ্ঠার নথি (ডকুমেন্ট) যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

আবেদনে পুলিশ বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান, পুলিশের গৌরবময় অর্জনের বর্ণনা তুলে ধরার পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলায় বিদ্যমান আইনি কাঠামো সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে এবং কমিশন গঠনের জন্য আটটি যুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ ও অসদাচরণের’ ৫৮৯টি অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে-বিচারবহির্ভূত হত্যা; হেফাজতে মৃত্যু; হেফাজতে নির্যাতন; গুম, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়; খুন, মারধর, হুমকি ও হয়রানি; ধর্ষণ, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন; চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও লুটপাট; চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, ঘুষবাণিজ্য ও ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়; জমি দখল ও সম্পত্তি বিনষ্টকরণ; মাদক ব্যবসা ও উদ্ধারকৃত মাদক আত্মসাৎ; আটকবাণিজ্য; অপরাধীদের আশ্রয়, প্রশ্রয় ও টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া; মামলা নিতে গড়িমসি ও মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ; মিথ্যা ও পালটা মামলা দিয়ে হয়রানি; তদন্তে গাফিলতি, হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণ; সাংবাদিক নির্যাতন; কর্তব্যে অবহেলা, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিনষ্টকরণ ও আসামিদের নাম বাদ দেওয়া, নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতিতে দুর্নীতি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন গঠন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

আপডেট টাইম : ০২:২৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে ‘স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আইন মন্ত্রণালায়ের দুই সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।
সুপ্রিমকোর্টের শতাধিক আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন।
স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ গঠন করতে বিবাদীদের গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়।

আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শককে সেখানে বিবাদী করা হয়েছে। ১৪৫ পৃষ্ঠার রিট আবেদনের সঙ্গে এক হাজার ৫২২ পৃষ্ঠার নথি (ডকুমেন্ট) যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

আবেদনে পুলিশ বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান, পুলিশের গৌরবময় অর্জনের বর্ণনা তুলে ধরার পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলায় বিদ্যমান আইনি কাঠামো সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে এবং কমিশন গঠনের জন্য আটটি যুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ ও অসদাচরণের’ ৫৮৯টি অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে-বিচারবহির্ভূত হত্যা; হেফাজতে মৃত্যু; হেফাজতে নির্যাতন; গুম, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়; খুন, মারধর, হুমকি ও হয়রানি; ধর্ষণ, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন; চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও লুটপাট; চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, ঘুষবাণিজ্য ও ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়; জমি দখল ও সম্পত্তি বিনষ্টকরণ; মাদক ব্যবসা ও উদ্ধারকৃত মাদক আত্মসাৎ; আটকবাণিজ্য; অপরাধীদের আশ্রয়, প্রশ্রয় ও টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া; মামলা নিতে গড়িমসি ও মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ; মিথ্যা ও পালটা মামলা দিয়ে হয়রানি; তদন্তে গাফিলতি, হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণ; সাংবাদিক নির্যাতন; কর্তব্যে অবহেলা, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিনষ্টকরণ ও আসামিদের নাম বাদ দেওয়া, নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতিতে দুর্নীতি।