হাওর বার্তা ডেস্কঃ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন মাদরাসা থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে দেশের সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় নিজ যোগ্যতা গুণেই তারা স্থান করে নিচ্ছেন মেধাক্রমের শীর্ষে। সাম্প্রতিক সময়ে এটি আরও ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের এই সাফল্য কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না এক শ্রেণির মাদরাসা শিক্ষাবিরোধী শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী। বিশেষ করে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যখনই মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যখনই সাফল্যের স্বাক্ষর রাখে তখনই তারা শুরু করেন সমালোচনা। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ইংরেজির ভিত্তি দুর্বল, কম মেধা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, শিক্ষা ব্যবস্থাকে টেনে নিচে নামাচ্ছে, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এমন নানা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন তারা। কিন্তু এসব শিক্ষক ও শিক্ষাবিদের সমালোচনায় থেমে নেই মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। সমালোচনার মধ্যেই গত কয়েকবছর ধরেই ভর্তি পরীক্ষায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ভর্তির হার বেড়েছে আরও বেশি।
সর্বশেষ চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ’ ইউনিটে প্রথম হয়েছেন দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী মো. জাকারিয়া, ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথম হয়েছেন একই মাদরাসার আরেক শিক্ষার্থী রাফিদ হাসান সাফওয়ান। এই শিক্ষার্থী ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে গঠিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায়ও প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
একই বছর ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ঘ ইউনিটের মানবিক বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে খ ইউনিটে চতুর্থ হওয়া শাহ মারুফ। একই ধারা আরো জোরালো হয় ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে। সে বছর ঘ ইউনিটের প্রথম পাঁচজনের পাঁচজনই ছিলেন মাদরাসা শিক্ষার্থী। ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ঘ ইউনিটে মানবিক থেকে প্রথম হন তা’মিরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আমিন। সে বছর খ ইউনিটেও সেরা দশে জায়গা করে নেন দুই মাদরাসা শিক্ষার্থী। সবশেষ ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা থেকে খ ইউনিটে প্রথম হন মো. জাকারিয়া। ঘ ইউনিটে প্রথম হন একই মাদরাসার শিক্ষার্থী রাফিদ হাসান সাফওয়ান। এছাড়াও সরকারি সাত কলেজের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, গুচ্ছ ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রথম স্থান অধিকার করেন দারুননাজাতের শিক্ষার্থী। ঢাবির গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মানবিক বিভাগে প্রথম হন তা’মিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার (মহিলা শাখা) শিক্ষার্থী হামিদা ইসলাম।
ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শামসুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে দূর্বল এটা কোনোভাবেই বলা যাবে না। বরং যে ভালো পড়াশোনা করবে সেই ভালো করবে। #