মুক্তিযোদ্ধা ডা.আবদুল মালেক আর নেই

রফিকুল ইসলামঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান সোহাগের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আবদুল মালেক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন)।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৫টায় লিভার সিরোসিস রোগে ভুগতে থাকাকালীন নিজ বাসভবন কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার মহিষারকান্দি গ্রামে ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

তিনি স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ছাড়াও ৪ ছেলে, ২ মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে মারা গেছেন।

সন্তানদের মধ্যে হাসান রাশেদ পরাগ পুলিশের সহকারী কমিশনার (এএসপি), হাসান তৌকির পল্লব এলএলবি এবং আসাদুজ্জামান পুলক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিষয়ে মাস্টার্সে পড়াশোনা করছেন। এছাড়া শাম্মী আক্তার কল্পনা করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নওরিন আক্তার জেলা সদরে বৌলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

মরহুমের বড় মেয়ে শাম্মী আক্তার কল্পনা জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস রোগে দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মৃত্যুর ২৫/২৬ দিন আগে থেকেই খানাদানা উঠে যায়।

গার্ড অব অনারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রথমে মহিষারকান্দি গ্রাম ও পরে পিতৃভূমি মামুদপুর বাজারে জানাজা শেষে আটপাশা বাজার কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয় বলে বড় ছেলে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান সোহাগ জানান।

মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আবদুল মালেকের মৃত্যতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের এমপি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব এমএ আবদুস সালাম এক বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।

একইভাবে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা-সহমর্মিতা জানিয়ে মরহুমের বিদেহী রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুল হক নূরু।

এছাড়া ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলম, মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শরীফ কামালসহ রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠন ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আবদুল মালেক ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমানের ছোট বোন জামাই।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর