ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুনাহ মাফের ‘আমলগুলোর স্তরবিন্যাস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • ১৪১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ছোট্ট একটি শর্ত। যা মানলেই মহান আল্লাহ তাআলা গুনাহকারীদের ক্ষমা করে দেবেন। সেই ছোট্ট শর্তটি কী? হাদিসে কুদসির বর্ণনায় এ সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?

শিরক মুক্তি ঈমান। সবচেয়ে দামি জিনিস। এ ঈমানের অধিকারী ব্যক্তি যত বড় গুনাহগারই হোক মহান আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেবেন। হাদিসে কুদসির বর্ণনা থেকে তা সুস্পষ্ট।

অন্য বর্ণনায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাস করলো যে, আমি গুনাহ মাফ করার ক্ষমতা রাখি এবং আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক স্থাপন করলো না, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব; এ ক্ষেত্রে আমি কারও পরোয়া করবো না।’ (হাদিসে কুদসি)

মনে রাখা জরুরি

শিরকমুক্ত ঈমান ও আমলের গুরুত্ব পরকালের মুক্তির জন্য খুবই জরুরি। ঈমান ও আমলের কোথাও সামান্য পরিমাণ শিরক মিশ্রিত থাকলেও মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন। মহান আল্লাহর ঘোষণা এটি। আল্লাহ তাআলা বলেন-

اِنَّ اللّٰهَ لَا یَغۡفِرُ اَنۡ یُّشۡرَکَ بِهٖ وَ یَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰهِ فَقَدِ افۡتَرٰۤی اِثۡمًا عَظِیۡمًا

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার (শিরক) করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যার জন্য ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। আর যে কেউ আল্লাহর সাথে অংশী স্থাপন (শিরক) করে, সে এক মহাপাপ করে।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৪৮)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ছোট হোক আর বড়; কোনোভাবেই শিরকের মতো ভয়াবহ গুনাহ থেকে বিরত থাকা। নিজেদের আমল ঠিক করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গঠন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গুনাহ মাফের ‘আমলগুলোর স্তরবিন্যাস

আপডেট টাইম : ১১:৩৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ছোট্ট একটি শর্ত। যা মানলেই মহান আল্লাহ তাআলা গুনাহকারীদের ক্ষমা করে দেবেন। সেই ছোট্ট শর্তটি কী? হাদিসে কুদসির বর্ণনায় এ সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?

শিরক মুক্তি ঈমান। সবচেয়ে দামি জিনিস। এ ঈমানের অধিকারী ব্যক্তি যত বড় গুনাহগারই হোক মহান আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেবেন। হাদিসে কুদসির বর্ণনা থেকে তা সুস্পষ্ট।

অন্য বর্ণনায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাস করলো যে, আমি গুনাহ মাফ করার ক্ষমতা রাখি এবং আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক স্থাপন করলো না, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব; এ ক্ষেত্রে আমি কারও পরোয়া করবো না।’ (হাদিসে কুদসি)

মনে রাখা জরুরি

শিরকমুক্ত ঈমান ও আমলের গুরুত্ব পরকালের মুক্তির জন্য খুবই জরুরি। ঈমান ও আমলের কোথাও সামান্য পরিমাণ শিরক মিশ্রিত থাকলেও মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন। মহান আল্লাহর ঘোষণা এটি। আল্লাহ তাআলা বলেন-

اِنَّ اللّٰهَ لَا یَغۡفِرُ اَنۡ یُّشۡرَکَ بِهٖ وَ یَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰهِ فَقَدِ افۡتَرٰۤی اِثۡمًا عَظِیۡمًا

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার (শিরক) করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যার জন্য ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। আর যে কেউ আল্লাহর সাথে অংশী স্থাপন (শিরক) করে, সে এক মহাপাপ করে।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৪৮)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ছোট হোক আর বড়; কোনোভাবেই শিরকের মতো ভয়াবহ গুনাহ থেকে বিরত থাকা। নিজেদের আমল ঠিক করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গঠন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।