হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী ও তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিত মানুষ মাদরাসা শিক্ষাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে থাকেন। তাদের ধারণা মেধাহীন এবং গরীব ঘরে জন্ম নেয়া সুবিধা বঞ্ছিত ছেলেমেয়েরা মাদরাসা শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। মাদরাসায় যারা পড়াশোনা করেন তারা মেধাহীন এবং কর্মজীবনে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জেম আর মাদরাসার শিক্ষক হন। মাদরাসা পড়–য়া মেধাহী শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে পড়–য়া ছেলেমেয়েদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠতে পারেন না। মাদরাসায় লেখাপড়া শুরু করে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা যে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরি করছেন এটা তারা বিশ্বাস করতে চান না।
গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৯৩ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়ে প্রথম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটে ৩৬তম হন মাদরাসার শিক্ষার্থী রাফিদ হাসান সাফওয়ান। তিনি বলেন, মাদরাসায় ১০০ নম্বরের সাধারণ জ্ঞান পড়ানো হয়। এটি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞানে ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করে। শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সিনিয়র শিক্ষার্থীদের উৎসাহ, মাদরাসার পাঠদান পদ্ধতি এবং শিক্ষার্থীদের চেষ্টার কারণে এখানকার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় অনেক ভালো করছেন।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে প্রথম হন মো. হাসিবুর রহমান। মাদরাসায় পড়ালেখা করা এই ছাত্র বলেন, দারুননাজাতে বিজ্ঞান বিভাগের সব শিক্ষক যথেষ্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও আন্তরিক। তবে শিক্ষকের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় অন্যান্য বিভাগের চেয়ে আমরা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা একটু পিছিয়ে থাকি। লেখাপড়া করলে ভাল রেজাল্ট করা সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্তভূক্ত ৭ কলেজের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে প্রথম মো. নাজমুল আলম। তিনিও মাদরাসার ছাত্র।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে প্রথম হন মো. হাসিবুর রহমান। মাদরাসায় পড়ালেখা করা এই ছাত্র বলেন, দারুননাজাতে বিজ্ঞান বিভাগের সব শিক্ষক যথেষ্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও আন্তরিক। তবে শিক্ষকের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় অন্যান্য বিভাগের চেয়ে আমরা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা একটু পিছিয়ে থাকি। লেখাপড়া করলে ভাল রেজাল্ট করা সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্তভূক্ত ৭ কলেজের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে প্রথম মো. নাজমুল আলম। তিনিও মাদরাসার ছাত্র।