হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ অলওয়েদার সড়ক দিয়ে মিঠামইন উপজেলা থেকে ইটনায় গেলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সফরের চতুর্থ দিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ইটনা উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেছেন। সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি মিঠামইনের কামালপুর গ্রামের বাড়ি থেকে সড়কপথে গাড়িতে করে ইটনা উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন ।
ইটনা যাওয়ার আগে তিনি মিঠামইনের পুরাতন কাচারি ঘর পরিদর্শন করেন। ইটনায় পৌঁছার পর ডাকবাংলো মাঠে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
উপজেলা পরিষদ পরিদর্শনের পর তিনি ইটনার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজে যান। সেখান থেকে তিনি ইটনা উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ স্টেশন এবং সম্প্রসারিত ভবন ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। সেখানে কলেজের সম্প্রসারিত ভবন ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এছাড়া তিনি উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। পরে সন্ধ্যায় ইটনা উপজেলা সদরের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন উন্নয়নের সুফল যাতে জনগণ ভোগ করতে পারে সে জন্য সরকারী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রতিটি খাতের সংস্কারের পাশাপাশি উন্নয়নের সূচনা করেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নয়নের একটি পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ড না ঘটলে বাংলাদেশ অনেক দূরে এগিয়ে যেত।
স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, রাষ্ট্রপতির সচিব এবং পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নিজবাড়ি কামালপুরে রাত্রিযাপন শেষে ৫ম দিন মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় মিঠামইন হইতে হেলিকপ্টারযোগে তিনি কিশোরগঞ্জ শহরে পৌঁছে খড়মপট্টিস্থ নিজ বাসভবনে রাত্রিযাপন করবেন।
৬ষ্ট দিন বুধবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মত বিনিময়ে অংশ গ্রহন করবেন।
সফরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে তিনি হেলিকপ্টারযোগে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করবেন।