ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি মামলায় মালিকসহ ১৬ জনের বিচার .

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
  • ১৫১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় এফআর টাওয়ারের মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক (এস এম এইচ আই ফারুক) ও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

সোমবার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। টাওয়ারের তত্ত্বাবধায়ক মো. মোফাজ্জেল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল বাকীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এদিন আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর চার্জ গঠনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

আসামিরা হলেন, এফআর টাওয়ারের মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক (এস এম এইচ আই ফারুক), রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, এফআর টাওয়ার ওনার্স সোসাইটির সভাপতি কাসেম ড্রাইসেলের এমডি তাসভীর-উল-ইসলাম, রাজউকের সাবেক পরিচালক মো. শামসুল আলম, সহকারি পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সহকারি অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারি পরিচালক মেহেদউজ্জামান, রাজউকের উচ্চমান সহকারি মো. সাইফুল আলম, ইমারত পরিদর্শক (নকশা জমা গ্রহণকারী) ইমরুল কবির, ইমারত পরিদর্শক মো. শওকত আলী, উচ্চমান সহকারি মো. শফিউল্লাহ, সাবেক অথরাইজড অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, নিম্নমান সহকারি মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারি মো. এনামুল হক ও শওকত আলী।

রাজউকের ছাড়পত্র ইস্যু, ফি জমা, নকশা অনুমোদন না নিয়ে ভূয়া নকশা তৈরি করে এফআর টাওয়ারের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধক দেয়া, বিক্রি করা ও অগ্নিকান্ডে জনসাধারণের জানমালের ক্ষতির কারণে দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদি হয়ে ২০১৯ সালের ২৫ জুন কমিশনের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি মামলায় মালিকসহ ১৬ জনের বিচার .

আপডেট টাইম : ০৭:০২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় এফআর টাওয়ারের মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক (এস এম এইচ আই ফারুক) ও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

সোমবার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। টাওয়ারের তত্ত্বাবধায়ক মো. মোফাজ্জেল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল বাকীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এদিন আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর চার্জ গঠনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

আসামিরা হলেন, এফআর টাওয়ারের মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক (এস এম এইচ আই ফারুক), রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, এফআর টাওয়ার ওনার্স সোসাইটির সভাপতি কাসেম ড্রাইসেলের এমডি তাসভীর-উল-ইসলাম, রাজউকের সাবেক পরিচালক মো. শামসুল আলম, সহকারি পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সহকারি অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারি পরিচালক মেহেদউজ্জামান, রাজউকের উচ্চমান সহকারি মো. সাইফুল আলম, ইমারত পরিদর্শক (নকশা জমা গ্রহণকারী) ইমরুল কবির, ইমারত পরিদর্শক মো. শওকত আলী, উচ্চমান সহকারি মো. শফিউল্লাহ, সাবেক অথরাইজড অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, নিম্নমান সহকারি মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারি মো. এনামুল হক ও শওকত আলী।

রাজউকের ছাড়পত্র ইস্যু, ফি জমা, নকশা অনুমোদন না নিয়ে ভূয়া নকশা তৈরি করে এফআর টাওয়ারের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধক দেয়া, বিক্রি করা ও অগ্নিকান্ডে জনসাধারণের জানমালের ক্ষতির কারণে দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদি হয়ে ২০১৯ সালের ২৫ জুন কমিশনের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।