হাওর বার্তা ডেস্কঃ গ্রীষ্মকে বিদায় জানিয়ে আগমন ঘটেছে শীতের। বদলাচ্ছে ঋতু। ঋতুবদলের এই সময় প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন ঘটে শরীরেরও। এই সময় নানা রকম রোগ দেহে বাসা বাঁধে। ছোট থেকে বড় সবারই সর্দি, কাশি, জ্বর লেগেই থাকে। এর থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই ভরসা রাখেন ওষুধে। কিন্তু ওষুধ ছাড়াও এক উপায়ে এসব রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
জানলে অবাক হবেন যে, শীতের এই সময়টাতে প্রতিদিন একটি করে ডিম আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে। কারণ যেসব জটিলতার জন্য সিজন পরিবর্তনের এই সময়টাতে রোগ হয়, তা নিরাময়ের সব উপকরণই রয়েছে ডিমে।
ভিটামিন ডিয়ের অন্যতম উৎস সূর্যের আলো। শীতকালে সূর্যের আলো কম পাওয়া যায়। তাই সূর্যের আলোতে থাকা ভিটামিন ডিয়ের অভাব পূরণ করবে ডিম। এছাড়া শীতকালে মানুষের শরীরে আমিষের অভাবও দেখা যায়। ডিমে প্রচুর আমিষ থাকায় এটি শরীরের অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। তাই ডিম শীতকালে খুবই উপকারী হতে পারে।
কেউ কেউ দাবি করেন, চর্বিসমৃদ্ধ খাবার হলেও ডিম মেদ বাড়ায় না, বরং শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া বি৬ ও বি১২ নামক ভিটামিনে ভরপুর ডিম। শীতকালীন অসুস্থতা থেকে যা আপনাকে বাঁচিয়ে রাখবে।
মৌসুমি সর্দি-জ্বর হলে চিকিৎসকরা আমাদের সাধারণত যেসব ওষুধ খেতে দেয়, তাতে মূলত খনিজ উপাদান হিসেবে থাকে জিঙ্ক। ডিমেও রয়েছে জিঙ্ক। তাই শীতকালের সর্দি-কাশি থেকে বাঁচাতে ডিম খুবই উপকারী।