আ.লীগের পরিবর্তে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দুর্নীতি-দুঃশাসন আরও বাড়বে: জিএম কাদের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনের বদলে রাজনীতির পরিবর্তন চায়। তাই সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে দেশের মানুষ অংশ নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষ জানে আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন আরও বেড়ে যাবে। কারণ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না সাধারণ মানুষ।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে এক বুক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশে অনেক বেশি সুশাসন দিতে পারবে।

শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে প্রেসিডিয়াম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ এতটাই ব্যস্ত যে রাজনীতির মাঠে তারা নেই বললেই চলে। আবার বিএনপি ইতোমধ্যেই অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে জাতীয় পার্টি অনেক সোচ্চারভাবে সক্রিয় আছে। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও জাতীয় পার্টি সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই নির্বাচনের মাঠে আছে। আমরা নির্বাচনে জয়ী হতেই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকছে।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়েই রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতির বাইরে জাতীয় পার্টির রাজনীতি। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের ৯০ ভাগ মানুষের হৃদয়ের প্রত্যাশা পূরণ করতেই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে সব ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।কিন্তু কেউ যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করব। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে চাইলে আমরা তা প্রতিহত করবই।

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি জাতীয় পার্টির হাত ধরেই এগিয়ে যাবে। জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেউ কিছু করতে পারবে না। তিনি বলেন, খুব অল্প সময় আছে। তাই দ্রুততার সঙ্গে তৃণমূলে জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে জাতীয় পার্টি।

এতে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখ্ত, নাজমা আখতার এমপি, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, মো. জহিরুল ইসলাম, কারি মো. হাবিবুল্লাহ বেলালী।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর