ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ কখন বুলেট চালাবে তা পরিস্থিতি বলে দেবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০১৬
  • ২৫৪ বার

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেছেন, ‘চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা হলে পুলিশ কখন বুলেট চালাবে তা সময় ও পরিস্থিতি বলে দিবে।’

রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তার নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, চলমান ইউপি নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারো সামনে অপরাধ হবে এবং তারা মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকবে তা হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষে ইসি যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তাছাড়া নির্বাচনের সময় কেউ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সামনে বসে সিল মারবে আর তারাও কিছু বলবে না তা সহ্য করা হবে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। কোনো অনিয়ম এবং সহিংসতা হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের সব ধরনের নির্দেশ দেওয়া আছে। প্রয়োজন মতো তারা পদক্ষেপ নেবে। তাছাড়া সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তাও থাকবেন। তাদেরকেও অনেক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।

প্রথমধাপের ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমধাপে কিছু অনিয়ম পেয়েছি। ইসির পক্ষ থেকে যে সব জায়গায় সহিংসতা বা অনিয়ম হয়েছে সে সব ইউপির ভোট গ্রহণ বন্ধ করেছি। বিভিন্ন অ্যাকশান নিয়েছি।

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে যে নির্বাচন আগামী ৩১মার্চ হবে এতে যিনি ভোট দেবেন, ভোটের প্রার্থী হবেন এবং যারা ভোটগ্রহণ করবেন ও যারা ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন আমি সবাইকে সতর্ক করে দিতে চাই। সবাইকে আমি বলতে চাই, কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট রক্ষার সম্পূর্ণ দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। কোনো অনিয়ম হলে ছাড় দেওয়া হবে না।

রাঙ্গামাটির সব ইউপি নির্বাচন কেন বন্ধ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে শাহনেওয়াজ বলেন, সেখান থেকে রিপোর্ট আসছে শেষ পর্যায়ে করলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। তাই রাঙ্গামাটির ৪৯ ইউপির নির্বাচন পিছিয়ে ষষ্ঠ ধাপে নেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপ থেকে পিছিয়ে ষষ্ঠ ধাপে যে ইউপিগুলোর নির্বাচন নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার ঘাঘর, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের বাচোর, হোসেনগাঁও ও নন্দুয়ার, চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর, শংকরচন্দ্র ও তিতুদহ, নীলফামারী সদরের খোকশাবাড়ী ও টুপামারী, ভোলার চরফ্যাশনের আমিনাবাদ ও নুরাবাদ, মাগুরার সদরের কুচিয়ামোড়া, পঞ্চগড়ের বোদার ময়দানদিঘী, কাজলদিঘী, কালিয়াগঞ্জ, মারেয়া বামনহাট ও বড়শশী, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গমারীর ভুরুঙ্গমারী, পাথরডুবি ও শিলখুড়ি, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের শ্রীরামপুর, উড়িমারী, পাটগ্রাম, কুচলীবাড়ী, জগতবেড়, জোংড়া ও বাউরা, হাতীবান্ধার গোতামারী, চাঁদপুরের চাঁদপুর সদরের লক্ষীপুর মডেল, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার আলফাডাঙ্গা সদর, বুড়াইচ ও গোপালপুর, ফেনীর ফুলগাজীর আমজাদহাট, দরবারপুর, ফুলগাজী, জিএম হাট, মুন্সিরহাট ও আনন্দপুর, পরশুরামের মির্জানগর, চিথলীয় ও বক্সমাহমুদ এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়ন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পুলিশ কখন বুলেট চালাবে তা পরিস্থিতি বলে দেবে

আপডেট টাইম : ১০:২৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০১৬

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেছেন, ‘চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা হলে পুলিশ কখন বুলেট চালাবে তা সময় ও পরিস্থিতি বলে দিবে।’

রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তার নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, চলমান ইউপি নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারো সামনে অপরাধ হবে এবং তারা মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকবে তা হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষে ইসি যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তাছাড়া নির্বাচনের সময় কেউ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সামনে বসে সিল মারবে আর তারাও কিছু বলবে না তা সহ্য করা হবে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। কোনো অনিয়ম এবং সহিংসতা হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের সব ধরনের নির্দেশ দেওয়া আছে। প্রয়োজন মতো তারা পদক্ষেপ নেবে। তাছাড়া সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তাও থাকবেন। তাদেরকেও অনেক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।

প্রথমধাপের ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমধাপে কিছু অনিয়ম পেয়েছি। ইসির পক্ষ থেকে যে সব জায়গায় সহিংসতা বা অনিয়ম হয়েছে সে সব ইউপির ভোট গ্রহণ বন্ধ করেছি। বিভিন্ন অ্যাকশান নিয়েছি।

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে যে নির্বাচন আগামী ৩১মার্চ হবে এতে যিনি ভোট দেবেন, ভোটের প্রার্থী হবেন এবং যারা ভোটগ্রহণ করবেন ও যারা ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন আমি সবাইকে সতর্ক করে দিতে চাই। সবাইকে আমি বলতে চাই, কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট রক্ষার সম্পূর্ণ দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। কোনো অনিয়ম হলে ছাড় দেওয়া হবে না।

রাঙ্গামাটির সব ইউপি নির্বাচন কেন বন্ধ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে শাহনেওয়াজ বলেন, সেখান থেকে রিপোর্ট আসছে শেষ পর্যায়ে করলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। তাই রাঙ্গামাটির ৪৯ ইউপির নির্বাচন পিছিয়ে ষষ্ঠ ধাপে নেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপ থেকে পিছিয়ে ষষ্ঠ ধাপে যে ইউপিগুলোর নির্বাচন নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার ঘাঘর, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের বাচোর, হোসেনগাঁও ও নন্দুয়ার, চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর, শংকরচন্দ্র ও তিতুদহ, নীলফামারী সদরের খোকশাবাড়ী ও টুপামারী, ভোলার চরফ্যাশনের আমিনাবাদ ও নুরাবাদ, মাগুরার সদরের কুচিয়ামোড়া, পঞ্চগড়ের বোদার ময়দানদিঘী, কাজলদিঘী, কালিয়াগঞ্জ, মারেয়া বামনহাট ও বড়শশী, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গমারীর ভুরুঙ্গমারী, পাথরডুবি ও শিলখুড়ি, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের শ্রীরামপুর, উড়িমারী, পাটগ্রাম, কুচলীবাড়ী, জগতবেড়, জোংড়া ও বাউরা, হাতীবান্ধার গোতামারী, চাঁদপুরের চাঁদপুর সদরের লক্ষীপুর মডেল, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার আলফাডাঙ্গা সদর, বুড়াইচ ও গোপালপুর, ফেনীর ফুলগাজীর আমজাদহাট, দরবারপুর, ফুলগাজী, জিএম হাট, মুন্সিরহাট ও আনন্দপুর, পরশুরামের মির্জানগর, চিথলীয় ও বক্সমাহমুদ এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়ন।