হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কূটনীতিক ও বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী। জাতির ক্রান্তিলগ্নে তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। ওই সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ভারত, ভুটানসহ বিশ্বের ৪০টির বেশি দেশের স্বীকৃতি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, যা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ছিল গভীর শ্রদ্ধা। তিনি জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত থাকাকালে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের নৃশংসতায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য শাহাদত বরণ করেন। মরহুম চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার বাসভবনে রাখেন ও তাদের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের উদ্যোগ নেন।
তিনি বলেন, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (৪১তম অধিবেশনে) প্রথম বাঙালি হিসেবে সভাপতিত্ব করার বিরল গৌরব অর্জন করেন। পরে তিনি ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে মহান জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। তিনি ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) মতো মর্যাদাশীল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃপার্লামেন্টারি সম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এছাড়া তিনি জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চালুসহ সংসদকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে অবদান রাখার পাশাপাশি মরহুম হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী বৃহত্তর সিলেটের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের জাতীয় রাজনীতি, কূটনীতি ও দেশের উন্নয়নে তার অবদান ও স্মৃতি জাতির কাছে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। আমি মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।