ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইকবালকে আদালতে তোলা হচ্ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • ১৭০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লার নানুয়ার দিঘিরপাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হওয়া ইকবাল হোসেনসহ চারজনকে আজ আদালতে তোলা হচ্ছে।

দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুর দুইটার পর তাকে আদালতে তোলা হবে বলে সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) খান মোহাম্মদ রেজওয়ান নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইকবালকে আদালতে নেওয়ার খবরে উৎসুক জনতা আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় জমাচ্ছেন।

এ মামলায় ইকবাল হোসেন ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন, ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করা রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ।

এসপি খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে দুপুর দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে ইকবালসহ চারজনকে আদালতে তোলা হবে।

গত ২৯ অক্টোবর বিকেল পৌনে তিনটায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানার আদালতে হাজির করে সিআইডি সাতদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত আসামিদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে ইকবালসহ চারজনকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরও আগে গত ২১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কুমিল্লা মহানগরের নানুয়ার দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্গাপূজা চলকালে গত ১৩ অক্টোবর ওই মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও কোরআন অবমাননার অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

পূজামণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাতটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বুধবার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত মোট ৯১ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইকবালকে আদালতে তোলা হচ্ছে

আপডেট টাইম : ১২:০৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লার নানুয়ার দিঘিরপাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হওয়া ইকবাল হোসেনসহ চারজনকে আজ আদালতে তোলা হচ্ছে।

দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুর দুইটার পর তাকে আদালতে তোলা হবে বলে সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) খান মোহাম্মদ রেজওয়ান নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইকবালকে আদালতে নেওয়ার খবরে উৎসুক জনতা আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় জমাচ্ছেন।

এ মামলায় ইকবাল হোসেন ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন, ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করা রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ।

এসপি খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে দুপুর দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে ইকবালসহ চারজনকে আদালতে তোলা হবে।

গত ২৯ অক্টোবর বিকেল পৌনে তিনটায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানার আদালতে হাজির করে সিআইডি সাতদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত আসামিদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে ইকবালসহ চারজনকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরও আগে গত ২১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কুমিল্লা মহানগরের নানুয়ার দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্গাপূজা চলকালে গত ১৩ অক্টোবর ওই মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও কোরআন অবমাননার অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

পূজামণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাতটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বুধবার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত মোট ৯১ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।