জীবনে চলার পথে সবসময়ই মানুষ চেনা সম্ভব হয়ে উঠে না। হ্যাঁ, আর এই ভুলটাই যেন বারবার করে বসেন বলিউড তারকা কঙ্গনা রনৌত।
শনিবার এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেত্রী। এক পর্যায়ে স্বীকারই করে বসলেন, ‘ভুল মানুষকে পছন্দ করাই আমার অভ্যাস।’ তবে এই ভুল আর করতে চান না তিনি।
ব্যক্তিগত সম্পর্কে চিড় ধরলেই কেন যে কেউ কেউ আইনজীবীদের কাছে দৌঁড়ান, তা বোধগম্য হয় না কঙ্গনার রনৌতের।
নয়াদিল্লির ওই অনুষ্ঠানে বিয়ে এবং প্রেম নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন কঙ্গনা। যে মতামতের আবহে উচ্চারিত না-হয়েও আগাগোড়াই ‘ছিলেন’ হৃতিক রোশন। হৃতিক এবং তার আইনি নোটিসের লড়াই সম্পর্কে একটি বাক্যও খরচ করেননি কঙ্গনা। কিন্তু তিনি যা বলেছেন, তা সেই আইনি লড়াইয়ের অনুষঙ্গে।
কঙ্গনা বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবীতে বিয়ের অর্থ পাল্টে গিয়েছে। আমরা পুরুষের অর্থসম্পদ বা সামাজিক প্রতিষ্ঠার উপরে নির্ভরশীল নই। এখনকার নারীরা মোটামুটি স্বাধীন। এমন কাউকে খুঁজছি যিনি আমাকে বুঝবেন।’
এরপরেই কঙ্গনা চলে যান সম্পর্কজনিত সমস্যা মেটাতে আইনি সহায়তা নেওয়ার প্রসঙ্গে। তার কথায়, ‘বুঝি না, সম্পর্কে সমস্যা দেখা দিলেই কেন কাউকে আইনজীবীর কাছে যেতে হয়! সবকিছুই বদলাচ্ছে। সম্পর্কেও বদল হতে পারে, কেউ একটিমাত্র সম্পর্কে আটকে থাকতে না-ও পারেন। সেজন্য মামলা করা ঠিক নয়।’
কিন্তু মামলায় জড়িয়ে পড়লে? কঙ্গনার সহাস্য প্রতিক্রিয়া, ‘বিচারব্যবস্থায় আস্থা রাখতেই হয়। আইনজীবীর নোটিস পেলে এবং তিনি তোমাকে জেলে পাঠাতে পারেন জানলে এই বিশ্বাস রাখতেই হয়। আমি আইন তৈরি করি না, তা পাল্টাতেও পারি না। সুতরাং আইন মেনেই চলি।’
শুধু সম্পর্ক প্রসঙ্গেই নয়, ‘সুপারস্টার’ প্রসঙ্গেও ‘বিস্ফোরক’ ছিলেন ‘কুইন’ ছবির নায়িকা। কঙ্গনার কথায়, ‘এখন তো কারও সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু ফলোয়ার থাকলে, এমনকি কারও বৃহৎ পশ্চাৎদেশ থাকলেও সে সুপারস্টার। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলে চাঞ্চল্যকর কিছু করে ফেললে রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে যাব। কিন্তু আমি তা চাই না।’
অতীতেও অনেক সুপারস্টার ছিলেন। কে তাদের মনে রেখেছে? আমি মানুষের মতো মানুষ হতে চাই- বলেন কঙ্গনা রনৌত। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এবেলা