আজ রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জুবায়েদ ও চঞ্চল মিয়া পূর্বধলা উপজেলার স্টেশন রোড এলাকার বাসিন্দা।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো: আকবর আলী মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে তারা জেল হাজতে রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালে জুবায়েদ ইসলাম নেত্রকোনা পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কাগজপত্র যাচাইয়ে তিনি ফিজিক্যাল অ্যানডিউরেন্স টেস্টের (পিইটি) প্রবেশপত্রে গরমিল পায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা।
প্রবেশপত্রে জুবায়েদ ইসলাম ওরফে রাতুলের নাম, বাবার নাম, জন্ম তারিখ, এসএসসির ফল, উচ্চতা ও ওজনের সঙ্গে পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে পাঠানো তথ্যের গড়মিল পাওয়া যায়। পরে তার মুঠোফোনের মেসেজ যাচাইয়ে দেখা যায়, ভিন্ন একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে (যা চঞ্চল মিয়া নামের ব্যক্তি ব্যবহার করেন) থেকে পরীক্ষা-সংক্রান্ত মেসেজ এসেছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জুবায়েদ ইসলাম জানান, তিনি পূর্বধলা স্টেশন রোডের চঞ্চল মিয়ার দোকান থেকে আবেদন করেছেন। পরে দোকানের মালিক চঞ্চলকেও পুলিশ আটক করে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, প্রথমে জুবায়েদ ইসলাম ওরফে রাতুলের কাগজপত্রে গড়মিল পাওয়া যায়। তিনি ভুয়া পিইটি প্রবেশপত্র তৈরি করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর এই কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে চঞ্চল মিয়া নামের আরেক তরুণকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে প্রতারণার মামলা করে।