ঢাকা ০৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাদ্যের বিষে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
  • ১৪১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাদ্যের বিষে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বাড়ছে ক্যানসার, কিডনি ও লিভারের রোগ। দূষিত খাবার ক্রমাগত গ্রহণের কারণে অকালে মানুষ মারা যাচ্ছে। ফলে কর্মক্ষম মানুষের অভাবে প্রকারান্তরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

ফসলে কীটনাশকের ব্যাপক অপপ্রয়োগ এবং মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহারে খাদ্য দূষিত হচ্ছে। একই সঙ্গে অনেক মজুতদার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা খাদ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক, যেমন—ফরমালিন, কার্বাইড, ইথোফেন, কীটনাশক, কাপড়ের রং মেশাচ্ছে। মেশানো হচ্ছে হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক। প্রক্রিয়াজাত খাদ্যেও নানা ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে। ফলে প্রায় সব খাদ্য ও পানীয়তেই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। মাঠ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত খাদ্যকে কীটনাশকসহ সব প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত রাখতে হলে, সব খাবার ও পানীয় নিয়মিত পরীক্ষা এবং এর ফলাফল জনসম্মুখে প্রকাশ করা দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণা সংস্থা গ্লোবক্যানের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর দেড় লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে মারা যায় ৯১ হাজার ৩০০ জন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কিডনি জটিলতায় দেশে ২০১৯ সালে যত মানুষ মারা গেছে, তার প্রায় তিন গুণ মানুষ মারা গেছে ২০২০ সালে। ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৮ হাজার ১৭ জন। আর ২০১৯ সালে মারা গেছে ১০ হাজার ৬২২ জন। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যায়, যার ৪ দশমিক ৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের রোগ এবং মৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে খাদ্য ও পানীয়তে বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি। ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য। একই সঙ্গে আমাদের দেশের কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের অভাব এবং যথাযথ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে অনেক খাদ্যশস্য নষ্ট কিংবা অপচয় হচ্ছে। তারা বলছেন, জমির মাটি থেকে খাবার থালা অবধি খাদ্য নিরাপদ হওয়া জরুরি। খাবার নিরাপদ কি না, এ নিয়ে নিয়মিত খাদ্য পরীক্ষাটাও জরুরি।

প্রতিদিন দেশে কমছে কৃষিজমি এবং প্রাকৃতিক পানির উৎসস্থলগুলো। আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বাধ্য হয়ে অধিক শস্য ফলাতে গিয়ে জমিতে ব্যবহার করছে প্রাণ সংহারী বীজ, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক। অতিরিক্ত কীটনাশক, আগাছানাশক কিংবা ছত্রাকনাশক মাটির অণুজীব থেকে শুরু করে শামুক-কেঁচোসহ নানা উপকারী পতঙ্গ মেরে ফেলছে। দূষিত করছে সামগ্রিক পরিবেশ। ফলে মানবস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য প্রাণবৈচিত্র্য ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে। জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে শেষ পর্যন্ত জলাশয়ের পানিতে গিয়ে মিশছে। এতে মাছ মরে যাওয়া ছাড়াও মাছসহ জলজ প্রাণী ও জলচর পাখিদের জন্যও খাদ্যসংকট তৈরি হচ্ছে।

নিরাপদ খাদ্য আইন: ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর জাতীয় সংসদে দেশের নাগরিকের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ অনুমোদিত হয়। এই আইন বাস্তবায়নের জন্য নিরাপদ খাদ্য বিধিমালা ২০১৪ তৈরি হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর দায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকার জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৮ সালে অনুমোদিত হয়েছে ‘নিরাপদ খাদ্য (স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সংরক্ষণ) প্রবিধানমালা ২০১৮’। এই প্রেক্ষাপটে দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বাড়তে শুরু করেছে এবং প্রতি বছর দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে আম, সবজি, মাছ, আলুসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী ইত্তেফাককে বলেন, খাদ্য জীবনের জন্য অপরিহার্য বিষয়। সেই খাবার যদি বিষাক্ত হয় তাহলে শরীরের ক্ষয়পূরণ হয় না, বরং ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের পরিপাকতন্ত্র, লিভার-কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। তিনি বলেন, প্রতিদিন দেশে ক্যানসারের রোগী বাড়ছে। কিডনি বিকল হওয়ার ঘটনা হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে। থাইরয়েডের সমস্যা, লিভারের অসুখ বাড়ছে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে ছোট ও দুর্যোগপূর্ণ দেশ হলেও বিশ্বের বাঘা বাঘা দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বর্তমানে খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর কাছাকাছি এসেছে। কিন্তু প্রচলিত ও প্রায় অনিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের কারণে অর্গানিক বা জৈব কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন ও বাজার আশানুরূপ বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, মাঠ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত খাদ্যকে কীটনাশকসহ সব প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত রাখতে হলে, সব খাদ্য ও পানীয় নিয়মিত পরীক্ষা ও ফলাফল জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। ভেজালবিরোধী অভিযান জোরদার রাখতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

খাদ্যের বিষে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

আপডেট টাইম : ০৯:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাদ্যের বিষে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বাড়ছে ক্যানসার, কিডনি ও লিভারের রোগ। দূষিত খাবার ক্রমাগত গ্রহণের কারণে অকালে মানুষ মারা যাচ্ছে। ফলে কর্মক্ষম মানুষের অভাবে প্রকারান্তরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

ফসলে কীটনাশকের ব্যাপক অপপ্রয়োগ এবং মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহারে খাদ্য দূষিত হচ্ছে। একই সঙ্গে অনেক মজুতদার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা খাদ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক, যেমন—ফরমালিন, কার্বাইড, ইথোফেন, কীটনাশক, কাপড়ের রং মেশাচ্ছে। মেশানো হচ্ছে হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক। প্রক্রিয়াজাত খাদ্যেও নানা ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে। ফলে প্রায় সব খাদ্য ও পানীয়তেই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। মাঠ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত খাদ্যকে কীটনাশকসহ সব প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত রাখতে হলে, সব খাবার ও পানীয় নিয়মিত পরীক্ষা এবং এর ফলাফল জনসম্মুখে প্রকাশ করা দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণা সংস্থা গ্লোবক্যানের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর দেড় লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে মারা যায় ৯১ হাজার ৩০০ জন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কিডনি জটিলতায় দেশে ২০১৯ সালে যত মানুষ মারা গেছে, তার প্রায় তিন গুণ মানুষ মারা গেছে ২০২০ সালে। ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৮ হাজার ১৭ জন। আর ২০১৯ সালে মারা গেছে ১০ হাজার ৬২২ জন। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যায়, যার ৪ দশমিক ৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের রোগ এবং মৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে খাদ্য ও পানীয়তে বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি। ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য। একই সঙ্গে আমাদের দেশের কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের অভাব এবং যথাযথ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে অনেক খাদ্যশস্য নষ্ট কিংবা অপচয় হচ্ছে। তারা বলছেন, জমির মাটি থেকে খাবার থালা অবধি খাদ্য নিরাপদ হওয়া জরুরি। খাবার নিরাপদ কি না, এ নিয়ে নিয়মিত খাদ্য পরীক্ষাটাও জরুরি।

প্রতিদিন দেশে কমছে কৃষিজমি এবং প্রাকৃতিক পানির উৎসস্থলগুলো। আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বাধ্য হয়ে অধিক শস্য ফলাতে গিয়ে জমিতে ব্যবহার করছে প্রাণ সংহারী বীজ, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক। অতিরিক্ত কীটনাশক, আগাছানাশক কিংবা ছত্রাকনাশক মাটির অণুজীব থেকে শুরু করে শামুক-কেঁচোসহ নানা উপকারী পতঙ্গ মেরে ফেলছে। দূষিত করছে সামগ্রিক পরিবেশ। ফলে মানবস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য প্রাণবৈচিত্র্য ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে। জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে শেষ পর্যন্ত জলাশয়ের পানিতে গিয়ে মিশছে। এতে মাছ মরে যাওয়া ছাড়াও মাছসহ জলজ প্রাণী ও জলচর পাখিদের জন্যও খাদ্যসংকট তৈরি হচ্ছে।

নিরাপদ খাদ্য আইন: ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর জাতীয় সংসদে দেশের নাগরিকের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ অনুমোদিত হয়। এই আইন বাস্তবায়নের জন্য নিরাপদ খাদ্য বিধিমালা ২০১৪ তৈরি হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর দায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকার জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৮ সালে অনুমোদিত হয়েছে ‘নিরাপদ খাদ্য (স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সংরক্ষণ) প্রবিধানমালা ২০১৮’। এই প্রেক্ষাপটে দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বাড়তে শুরু করেছে এবং প্রতি বছর দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে আম, সবজি, মাছ, আলুসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী ইত্তেফাককে বলেন, খাদ্য জীবনের জন্য অপরিহার্য বিষয়। সেই খাবার যদি বিষাক্ত হয় তাহলে শরীরের ক্ষয়পূরণ হয় না, বরং ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের পরিপাকতন্ত্র, লিভার-কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। তিনি বলেন, প্রতিদিন দেশে ক্যানসারের রোগী বাড়ছে। কিডনি বিকল হওয়ার ঘটনা হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে। থাইরয়েডের সমস্যা, লিভারের অসুখ বাড়ছে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে ছোট ও দুর্যোগপূর্ণ দেশ হলেও বিশ্বের বাঘা বাঘা দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বর্তমানে খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর কাছাকাছি এসেছে। কিন্তু প্রচলিত ও প্রায় অনিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের কারণে অর্গানিক বা জৈব কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন ও বাজার আশানুরূপ বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, মাঠ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত খাদ্যকে কীটনাশকসহ সব প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত রাখতে হলে, সব খাদ্য ও পানীয় নিয়মিত পরীক্ষা ও ফলাফল জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। ভেজালবিরোধী অভিযান জোরদার রাখতে হবে।