হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভোলায় কুপিয়ে হত্যার পর মো. ফরহাদ হোসেন টিটব মুন্সি (৪৫) নামে এক যুবকের পা কেটে পাতিলে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রোববার সকালে পুলিশ ওই গৃহবধূ নুরজাহান বেগমকে (৩৫) আটক করেছে।
নিহত ফরহাদ হোসেন টিটব মুন্সি ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দীঘলদি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জয়গুপি গ্রামের মো. বেলায়েত হোসেন মুন্সির ছেলে।
আটক নুরজাহান সদরের আলী নগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রুহিতা গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে ও নিহতের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফরহাদ হোসেন টিটব তার শ্বশুরবাড়ি আলী নগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রুহিতা গ্রামের নতুন ঘর তুলে স্ত্রী নুরজাহান বেগমকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
ফরহাদের সঙ্গে স্ত্রী নুরজাহান বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া লেগেই থাকত।
শনিবার গভীর রাতে ফরহাদের সঙ্গে স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এ সময় স্ত্রী নুরজাহান বেগম প্রথমে স্বামীর চোখে মরিচের গুড়া দেয়। পরে তিনি বঁটি-দা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে হত্যা করে তার ডান পা কেটে পাতিলে ভরে রাখেন। এর পর সকালে স্থানীয়রা টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
ভোলা মডেল থানার এসআই মো. কবির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের স্ত্রী নুরজাহানকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তবে বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ হত্যার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা সেটিরও তদন্ত চলছে।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবার থেকে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।