হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুখের আলসার একটি পরিচিত ও জটিল রোগ। আলসান হলে অনেকে ভুল চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করে রোগটিকে আরও জটিল করে তোলেন। সঠিক চিকিৎসা নিলে সহজেই এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে যুগান্তরকে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ফারুক হোসেন।
ভিটামিন সি এর অভাবে আবার এই ভিটামিন অতিরিক্ত গ্রহণের কারণেও মুখে আলসার হতে পারে। ভিটামিন সি-এর অভাবে মাড়ি খুবই নরম হয়ে যেতে পারে এবং রক্তপাত হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ভিটামিন-সি নেওয়া উচিত। তবে একটি কথা সবার মনে রাখতে হবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন সি খেলে নাটকীয়ভাবে মুখে আলসার হতে পারে। এ ছাড়া কখনও কখনও অতিরিক্ত ভিটামিন-সি কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে। মুখের আলসার নিরাময়ের ক্ষেত্রে ভিটামিনের পাশাপাশি মিনারেলসও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জিংকের অভাবে মুখে বারবার অ্যাপথাস আলসার হতে পারে। জিংক ওরাল আলসার নিরাময়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে থাকে। আয়রনের অভাবে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে। রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে মুখের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের আলসার দেখা দিতে পারে। ফেরাস সালফেট আয়রনের একটি রূপ।
আয়রন রক্তের লোহিত রক্তকণিকা গঠনে জরুরি যাতে রক্তস্বল্পতা দেখা না দেয়। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত মুখের আলসারের চিকিৎসা রোগীর রোগ নির্ণয়ের পর দিতে হবে। অটোইমমিউনজনিত মুখের আলসারের চিকিৎসা একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে করতে হবে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে মুখে আলসার নিরাময় সহজসাধ্য। আসলে মুখের আলসারের যথাযথ চিকিৎসা তত সহজ নয়।
সচরাচর পরিলক্ষিত মুখের আলসারগুলোর চিকিৎসা করার সময় একশরও বেশি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুদের মুখের আলসার ছত্রাক সংক্রমণজনিত কারণে হয়ে থাকে, আবার ভাইরাসজনিত কারণেও হতে পারে। তাই মুখের আলসারের চিকিৎসায় একজন দক্ষ চিকিৎসকের সহায়তা নিতে হবে এবং কখনোই মুখস্থ ডাক্তারি করতে যাবেন না।