যেসব খাবার নিমিষেই দূর করবে পেটের গ্যাস

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রায় সময় দেখা যায় খাবারদাবারে একটু অনিয়ম হলেই পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা ছোট-বড় যে কারোরই দেখা দিতে পারে। বলা চলে, দিন দিন মানুষের মধ্যে এই সমস্যা বেড়েই চলেছে। কারণ আজকাল মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে ভাজাপোড়া বা মশলাযু্ক্ত খাবারের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। যার ফলাফল হিসেবে দেখা দিচ্ছে পেটে গ্যাস সহ আরো নানা সমস্যা।

অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই সঙ্গে সবসময় গ্যাস্ট্রট্রিকের ওষুধ রাখেন। যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তবে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন ১৫টি খাবারের নাম-

এলাচ গুঁড়া খেলে অম্বল দূরে থাকে।

মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।

২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমি বমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

এক কাপ পানিতে পাঁচটি পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।

কমলা পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আমড়া টুকরো করে রোদে দিয়ে খান কাজে দেবে। পেটে গ্যাস ও বদহজমজনিত সমস্যা সমাধানে আমড়া খুব উপকারী।

দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।

পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।

পাকস্থলির গ্যাসট্রিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডি দূরে থাকে।

শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।

দারুচিনি হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়া দিয়ে ফুটিয়ে দিনে দুই থেকে তিন বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।

খাবারে সর্ষে যোগ করুন। সর্ষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সর্ষে যোগ করা হয় যাতে সেসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে।

আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।

কলা খেলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার স্যালুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটো কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।

জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুঁড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর