ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির ৩য় বৈঠকে দু’দেশের বিদ্যুৎ খাতে অধিকতর সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির ৩য় সভা আজ উভয় দেশের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দু’দেশের বিদ্যুৎ খাতে অধিকতর সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান এবং নেপালের পক্ষে বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ ও সেচ সচিব দেবেন্দ্র কার্কি নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

স্টিয়ারিং কমিটির সভায় নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিপুল সম্ভাবনা এবং উভয় দেশের বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এই সম্ভাবনা কাজে লাগানোর বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। উভয় দেশের মধ্যে ঋতুভেদে বিদ্যুৎ চাহিদার তারতম্যের আলোকে পারস্পরিক বিদ্যুৎ বাণিজ্যের বিষয়টি সভায় গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়। নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা ও বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের নেপালের বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, নেপাল সরকার সেদেশে সম্ভাব্য যে ৫টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চিহ্নিত করেছে তার কোনটিতে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে সে বিষয়ে নেপালের চলমান সমীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সভায় জানানো হয়, নেপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অর্থায়ন ও যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রকল্প চিহ্নিত করা, উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানির পন্থা নির্ধারণ এবং আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জয়েন্ট টেকনিক্যাল টিম (জেনারেশন) ও জয়েন্ট টেকনিক্যাল টিম (ট্রান্সমিশন) কাজ করছে। তবে সঞ্চালন লাইনের অংশ বিশেষ ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে নির্মিত হবে বিধায় বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি নির্ধারণ হবে বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়। এসময় নেপালের পক্ষ থেকে বর্তমান সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে ভারতের মাধ্যমে নেপাল থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানির প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

ভারতের জিএমআর গ্রুপ কর্তৃক নেপালে বাস্তবায়িতব্য ৯০০ মেগাওয়াট আপার কার্নালী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির অগ্রগতির বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জিএমআর এবং এনভিভিএন এর মধ্যে এ সংক্রান্ত স্বাক্ষরিতব্য চুক্তিটি চূড়ান্তকরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে মর্মে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সভায় বাংলাদেশ ও নেপালে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়ে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয় পর্যালোচনা হয়। সভায় বাংলাদেশের সোলার হোম সিস্টেম কার্যক্রম ও নেট মিটারিং কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। এ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের SREDA এবং নেপালের Alternative Energy Promotion Centre এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

জেএসসি সভায় বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মতি প্রকাশ করে। এসময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিপিএমআই এর প্রশিক্ষণ সক্ষমতার বিবরণ তুলে ধরা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির ২য় সভা ২০১৯ সালের জুন মাসে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির ৪র্থ সভা ২০২২ সালে নেপালে অনুঠিত হবে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির ৩য় বৈঠকে দু’দেশের বিদ্যুৎ খাতে অধিকতর সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ

আপডেট টাইম : ০৮:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির ৩য় সভা আজ উভয় দেশের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দু’দেশের বিদ্যুৎ খাতে অধিকতর সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান এবং নেপালের পক্ষে বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ ও সেচ সচিব দেবেন্দ্র কার্কি নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

স্টিয়ারিং কমিটির সভায় নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিপুল সম্ভাবনা এবং উভয় দেশের বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এই সম্ভাবনা কাজে লাগানোর বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। উভয় দেশের মধ্যে ঋতুভেদে বিদ্যুৎ চাহিদার তারতম্যের আলোকে পারস্পরিক বিদ্যুৎ বাণিজ্যের বিষয়টি সভায় গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়। নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা ও বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের নেপালের বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, নেপাল সরকার সেদেশে সম্ভাব্য যে ৫টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চিহ্নিত করেছে তার কোনটিতে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে সে বিষয়ে নেপালের চলমান সমীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সভায় জানানো হয়, নেপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অর্থায়ন ও যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রকল্প চিহ্নিত করা, উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানির পন্থা নির্ধারণ এবং আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জয়েন্ট টেকনিক্যাল টিম (জেনারেশন) ও জয়েন্ট টেকনিক্যাল টিম (ট্রান্সমিশন) কাজ করছে। তবে সঞ্চালন লাইনের অংশ বিশেষ ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে নির্মিত হবে বিধায় বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি নির্ধারণ হবে বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়। এসময় নেপালের পক্ষ থেকে বর্তমান সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে ভারতের মাধ্যমে নেপাল থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানির প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

ভারতের জিএমআর গ্রুপ কর্তৃক নেপালে বাস্তবায়িতব্য ৯০০ মেগাওয়াট আপার কার্নালী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির অগ্রগতির বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জিএমআর এবং এনভিভিএন এর মধ্যে এ সংক্রান্ত স্বাক্ষরিতব্য চুক্তিটি চূড়ান্তকরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে মর্মে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সভায় বাংলাদেশ ও নেপালে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়ে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয় পর্যালোচনা হয়। সভায় বাংলাদেশের সোলার হোম সিস্টেম কার্যক্রম ও নেট মিটারিং কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। এ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের SREDA এবং নেপালের Alternative Energy Promotion Centre এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

জেএসসি সভায় বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মতি প্রকাশ করে। এসময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিপিএমআই এর প্রশিক্ষণ সক্ষমতার বিবরণ তুলে ধরা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির ২য় সভা ২০১৯ সালের জুন মাসে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির ৪র্থ সভা ২০২২ সালে নেপালে অনুঠিত হবে